২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বিজ্ঞাপনে এমপির পরিচয়, বিতর্কে মিমি

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

একটি বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করলেন যাদবপুরের সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এমন পরিচয়ের কারণে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

এমন বিষয়ে বিশ্মিত কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক আইনজীবী। মিমি যা করেছেন, তা সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই। তবে এই বিষয়ে মিমি বলছেন, তিনি নিয়ম জানতেন না।

বিজ্ঞাপনটি ছিল নারকেল তেলের। বিজ্ঞাপনটিতে মিমি ছাড়াও রয়েছেন বিদ্যা বালান। বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, একটি আয়নার সামনে বসে চুল বাঁধছেন মিমি। পিছন থেকে হেঁটে আসছেন বিদ্যা। মিমিকে তিনি প্রশ্ন করছেন, ‘‘এখনও চুল নিয়ে পড়ে?’’ জবাবে মিমি বলছেন, ‘‘আমি এখন জনপ্রতিনিধি। তাই তার যোগ্য হেয়ারস্টাইল।’’ আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজ্ঞাপনে মিমি কেন নিজের সাংসদের পরিচয় দিবেন!

অথচ যেই ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নিয়ে এত বিতর্ক সেই ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন মিমি আগেও করেছেন। কিন্তু ওই সংস্থা অতি সম্প্রতি যে নতুন বিজ্ঞাপন বাজারে এনেছে, তাতে মিমি চক্রবর্তী নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় তুলে ধরেছেন।

একটি বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডকে মান্যতা পাইয়ে দিতে নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয়কে ব্যবহার করছেন কোনও সাংসদ— এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে দাবি করছেন অন্যান্য দলের সাংসদ বা প্রাক্তন সাংসদরা। অতএব যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদের জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে।

এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অরুণাভ ঘোষ কলকাতার একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘কোন সাংসদ এটা করতে পারেন না। ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে কেউ এই ভাবে পয়সা রোজগার করতে পারেন না। কেউ যদি চান, তা হলে ‘অফিস অব প্রফিট’ আইনের আওতায় ওই সাংসদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।’’

মিমি চক্রবর্তীর এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তাঁর নিজের দল অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে মিমি বলেছেন, ‘‘আমি এই সব নিয়ম-কানুন একদমই জানতাম না। আমাকে যা পড়তে বলা হয়েছিল, পড়ে দিয়েছি।’’ যে সংস্থার হয়ে তিনি বিজ্ঞাপনটি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে মিমি জানিয়েছেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network