• ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে কৃষি জমিতে ইটভাটা : ছাড়পত্র বাতিল : তরপরও চলছে ইট তৈরি

report71
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে কৃষি জমিতে ইটভাটা : ছাড়পত্র বাতিল : তরপরও চলছে ইট তৈরি
  • সাইদুর রহমান পান্থ ও জুয়েল তালুকদার, বরিশাল ব্যুরো

দুই ফসলী জমির পাশেই গড়ে উঠেছে ইটভাটা। যে জমিতে আমন ধান, বোরো, রবি শষ্য তরমুজ, আলু, তিল, খেশারী, মরিচ ও মুগডাল চাষাবাদ হয়। অভিযোগ রয়েছে অণ্যের কৃষি জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে।

শুধু তাই নয় সরকারি বেরীবাঁধ কেটে খাস জমি দখল করে এই ইটভাটাটি নির্মান করা হয়েছে।

যদিও পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এই ইটভাটার ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের আতাতের কারণে ছাড়পত্র ছাড়াই ইট পোড়ানো হচ্ছে। এ জন্য পরিচালককে অর্থ দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইটভাটা সংশিøষ্টরা।

ইটভাটাটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনয়নে অবস্থিত। এ অবস্থায় ভাটাটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী গত ২৫ জানুয়ারী পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসীর পÿে জামাল মিঞা এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭ নং কবাই ইউনিয়নের ১৪৫ নং হানুয়া আলী হোসেন সূর্যা নামের ওই ইটভাটাটি তৈরী করেন। শুরু থেকেই স্থানীয়রা এই ভাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ ও আপত্তি দিয়ে আসছিলেন।

কারন এই ভাটার চারপাশে রয়েছে দুই ফসলী কৃষি জমি, ঘন বসতি, স্কুল কলেজসহ নানা ব্যবসায়িক ও অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কিন্ত তারপরও প্রভাব খাটিয়ে মালিক শেষ পর্যন্ত ভাটাটি তৈরী করাসহ এর কার্যক্রম শুরু করেন। চমক করা বিষয় হচ্ছে গত বছরের জুলাই মাসে এই ভাটার ছাড়পত্র প্রদান করে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর ব্যাপকভাবে ফুসে উঠেন এলাকাবাসী।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয় সহ ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয় থেকে একাধিকবার ওই ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি প্রদান করা হয়।

শেষ পর্যন্ত গত ১৪ জানুয়ারী ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আগামী ৪ কার্য দিবসের মধ্যে সূর্যা ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক সদও দপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রদান করে।

বিস্ময়কর ভাবে ওই দিনই বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম স্বাÿরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইট ভাটাটির অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসী জানায় ছাড়পত্র বাতিল করা হলেও এখনো চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম।

তাদের অভিযোগ পরিচালক হালিমের সাথে ইটভাটা মালিকের গোপন আতাত রয়েছে। ছাড়পত্র বাতিল করাটা হচ্ছে আইওয়াস।

কারন গত কয়েক দিন আগে পরিচালক যখন সরেজমিনে ভাটা পরিদর্শন করেন তখন আমরা দাবী করেছিলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভাটাটি বন্ধ করে দেবার জন্য। কিন্তু তিনি বলেছেন এখানে আমার কিছু করার নেই।

এব্যাপারে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা আমার কাজ নয়। আমার দপ্তরের যা করনীয় তাই করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন ভাটার কার্যক্রম চলছে না। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, স্থাণীয় একটি মহল এসব করছে।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা কি কেউ দেখছে। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ও ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে লেগেছে। ##