২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

করোনা চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার : ১২ ঘণ্টায় সাফল্য !

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করল চীন।

নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরুর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অবিশ্বাস্য সাফল্য পাওয়া গেছে।

আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ হিসেবে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও খিঁচুনির কথা বলা হচ্ছিল।

এই ভাইরাস প্রতিরোধের কোনও ভ্যাকসিন না থাকার কারণে অন্য উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করছিলেন ডাক্তাররা।

তবে চীনের ডাক্তাররা নতুন এক পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করেছেন।

জানা গেছে, সুস্থ মানুষদের শরীর থেকে ব্লাড প্লাজমা নিয়ে তা করোনাভাইরাসে আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হচ্ছে।

অবশ্য শুরুতে যে ২০ জন ব্লাড প্লাজমা দিয়েছেন, তাদের সবাই ডাক্তার এবং নার্স। এই ২০ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে প্লাজমা দিয়েছেন।

তাদের পথ ধরে আরো ১৪ জন প্লাজমা দেন; তারাও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্লাজমা দিয়েছেন।

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্লাড প্লাজমা দেওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে ব্লাড প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসার জেরে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যাওয়ার মতো সুসংবাদ এসেছে।

আরো বলা হয়েছে, ব্লাড প্লাজমা দেওয়ার পর গুরুতর রোগীও উঠে দাঁড়াতে পেরেছে।

জানা গেছে, ব্লাড প্লাজমা প্রথম একজনের শরীর থেকে নেওয়া হয় ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে।

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক রোগীর শরীরে তা দেওয়া হয়।

উহানের জিয়াংসি জেলার একটি হাসপাতালে তাকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এরপর কিছুটা ইতিবাচক ফল পেয়ে ১০ জন রোগীর শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়।

গুরুতর অবস্থায় থাকা সেই ১০ জন রোগী বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ।

চীনের ন্যাশন্যাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।

তবে প্লাজমা দেওয়ার ফলে কিছুটা দুর্বল হয়ে যান দাতা ব্যক্তি।

যদিও এতে ভয়ের কিছু নেই।

উহানের পেকিং ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট হসপিটালের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই প্লাজমা দাতা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

তবে যে কেউ প্লাজমা দিতে পারবে না।

তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাসমুক্ত হতে হবে।

যখন লোহিত, শ্বেত ও অনুচক্রিকা বর্তমান থাকবে, কেবল তখনই প্লাজমা নিয়ে ব্লাড প্লাটিলেট আবারো দাতার শরীরে ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্লাজমা দেওয়ার পর সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ লাগে স্বাভাবিক হতে।

যদিও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।

গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে পারে, সে ব্যাপারেও সঠিক সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network