আপডেট: মার্চ ৪, ২০২০
পটুয়াখালীর বাউফলে সাহিদা বেগম (৩৫) নামে এক গৃবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের খাশের হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক কলহে গৃহবধূ সাহিদা বেগমের সাথে তার স্বামী খলিলুর রহমান মৃধার সাথে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
একপর্যায়ে খলিল সাহিদাকে বেধরক মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন।
তাকে চিকিৎসার জন্য বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সাহিদার চাচাতো ভাই নুর হোসেন খান অভিযোগ করেন, খলিল যৌতুকের জন্য প্রায়ই তার বোনকে মারধর করতন।
কয়েকদিন আগে সাহিদা ২০ হাজার টাকা ধার এনে স্বামীকে দেন।
তার ধারণা সাহিদাকে হত্যা করা হয়েছে।
পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
সাহিদা বেগমের ছেলে তৈহিদ (১২) জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার বাবা-মা ঝগড়াঝাঁটি করেছেন।
এসময় তার বাবা তার মাকে মারধর করেন।
এরপর সে ভয়ে ঘর থেকে বাইরে চলে যান।
পরে এসে শুনেন তার মা বিষপান করেছেন।
সাহিদার বাবার নাম মৃত আহম্মেদ আলী।
আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে তার বাড়ি।
১৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের খাসের হাওলা গ্রামের নুরুল হক মৃধার ছেলে খলিলুর রহমান মৃধার সাথে সাহিদতার বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে তৈহিদ (১২) ও সুরাইয়া (৫) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার মুখে বিষের আলামত পাওয়া গেছে।
লাশের ময়না তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’