আপডেট: মার্চ ৬, ২০২০
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, সাকিব আল হাসান ফিরলে অধিনায়ক হিসেবে তিনি হবেন প্রথম পছন্দ।
সাকিবের ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তার আগে পাকিস্তান সফরে একটি ওয়ানডের জন্য নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে হবে।
মুশফিকুর রহিম ২০১১-২০১৪ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত বছর শ্রীলংকা সফরে মাশরাফির ইনজুরির কারণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল।
মাশরাফির পর কে হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক?
বিদায়ী নেতা জানালেন, অধিনায়কের দৌড়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ।
মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব এখন বাইরে (নিষিদ্ধ), তিন সিনিয়রের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা আছে।
সাকিব আসার পর কী হবে জানি না।’
নতুন অধিনায়ক যিনিই হন না কেন, সুযোগ পেলে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন মাশরাফি, ‘নতুন অধিনায়কের জন্য শুভকামনা।
আমার বিশ্বাস, সে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সুযোগ পেলে আমি অধিনায়ককে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাব।’
কাল বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আপাতত তামিমই বিসিবির প্রথম পছন্দ।
তবে শ্রীলংকা সফরে দল খারাপ করায় অন্য ভাবনাও আছে।
মুশফিকুর রহিম সামলে রাখতে পারেন না- এমন কথাও হয়েছে।
আর মাহমুদউল্লাহকে টি ২০ ফরম্যাটের দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচন করতে চায় বোর্ড।
উভয় সংকটে রয়েছে বিসিবি।
আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবেন পরিচালকরা।
তখনই নতুন অধিনায়ক ঠিক করা হবে।
সিনিয়রদের বাইরে মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মোসাদ্দেক ঘন ঘন ইনজুরিতে পড়েন।
দেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, ‘দলের মধ্য থেকেই কাউকে বেছে নিতে হবে।
আগে দেখতে হবে তাকে সবাই সম্মান করে কি না।
নেতৃত্বটা কতটা ভালো বোঝে।’
১৯৮৬ থেকে বাংলাদেশকে ১৪ অধিনায়ক নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সর্বোচ্চ ৮৭ ওয়ানডে ম্যাচের ব্যাটন ছিল মাশরাফির হাতে।
আজ সেটা হবে ৮৮।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাবিবুল বাশার দিয়েছেন ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব।