আপডেট: মার্চ ৭, ২০২০
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার বিকেলে কুলসুম আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে নিহত মেয়ের জামাইসহ চার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ নিহত কুলসুমের স্বামী সুমন মৃধা (৩০) কে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামের কুদ্দুছ হাওলাদারের মেয়ে কুলসুম আক্তারের সাথে প্রায় ১০ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী সাপলেজা গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে সুমন মৃধার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সুমন যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই স্ত্রী কুলসুমকে নির্যাতন করতো ।
এ নিয়ে সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আপোষ-মিমাংসার শর্তে মামলা তুলে নেয়া হয়।
পরে আবারও যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করলে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় সুমন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকে।
দুই মাস পূর্বে ওই মামলাও আপোষ-মিমাংসার শর্তে আবারো আদালত কুলসুম আবেদন করে প্রত্যাহার করে।
নিহতের ভাই মাহাবুব হাওলাদার বলেন, মামলা প্রত্যাহার হওয়ার পর স্বামীর বাড়িতে থাকতো কুলসুম।
কিন্তু সম্প্রতি আবারও কুলসুমের ওপর নির্যাতন চালাতো শ^শুর বাড়ির লোকজন।
শুক্রবার সকালে স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন মারধর করে আমার বোনের মুখে বিষ দিয়ে তাকে আত্মহত্যা করেছে বলে প্ররোচনা চালায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
রিপোট পেলে বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় নিহতের স্বামী সুমন মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।