আপডেট: মার্চ ৮, ২০২০
চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলে জনমনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইতালিতে করোনাভাইরাসে ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ইতালির সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে তুর্কি, কাতার ও সর্বশেষ এমিরেটস এয়ারলাইন্স বন্ধ রয়েছে আগামী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত খোলার সম্ভাবনা কম।
ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় পাঠশালা ও মসজিদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উত্তর ইতালিতে চরম বিপর্যয় অবস্থা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে ছোট বড় সব রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
বর্তমান বাংলাদেশিসহ অনেকেই কর্মচ্যুত হয়ে আছে।
এরমধ্যে পর্যটন নগরী ভেনিসের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
পর্যটক শূন্য একটি শহরে পরিণত হয়েছে ভেনিস।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
এরকম অব্যাহত থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে দিতে হবে।
ইতালি সরকার আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেন।
কোনো প্রকার আলিঙ্গন, চুমু ও হ্যান্ডসেক করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন ইতালিতে বসবাসরত সকল প্রকার নাগরিকদের।
অন্যদিকে রোম দূতাবাস ঘোষণা দিয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এড়াতে এবং করোনায় আক্রান্ত নয় এ তথ্য সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ গমনে দূতাবাসের সনদ লাগবে বাংলাদেশি নাগরিকদের।
শুক্রবার ৬ মার্চ দূতাবাসের একটি পেজে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
যেকোনো বাংলাদেশি ইতালি থেকে দেশে প্রবেশ করতে চাইলে অবশ্যই দূতাবাসের এ সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
যা দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, সনদপত্র সংগ্রহ করার পূর্বে বাংলাদেশি নাগরিক স্থানীয় ডাক্তার থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে দূতাবাসে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে অবশ্যই অনলাইন থেকে একটি ফরম পূরণ করে দূতাবাসে নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে বাংলাদেশিরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং এ সনদ প্রক্রিয়াকে তারা হয়রানি হিসেবে মনে করছেন।
এ ব্যাপারে রাজ্জাক আব্দুর রাজ দূতাবাসের কাছে জানতে চেয়েছেন কোনো ডাক্তার বা হাসপাতাল সার্টিফিকেট দিচ্ছেনা এখন কি করব।
মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন তার প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন কোনো উত্তর পাবেননা।
এরা আছেই মানুষের হয়রানি কিভাবে বাড়ানো যায় সে চিন্তায়।
এছাড়া আরও অনেক বাংলাদেশি এ সনদ সংগ্রহকে ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাস দিন দিন প্রকট হওয়ায় ইতালি সরকারের জরুরী নির্দেশনা মেনে চলতে পরামর্শ দেন।
সেই লক্ষে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দূতাবাসে এসে ভিড় জমাতে নিষেধ করা হয়।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেন।