আপডেট: মার্চ ৮, ২০২০
রোববার সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তথ্য গোপন করে জিকে শামীমের নেয়া জামিন আদেশ বাতিলের আবেদন করছি।
আশা করছি আজ কিংবা কাল আবেদনটির শুনানি হবে।
এর আগে ৭ মার্চ শামীমের আইনজীবী শওকত হোসেন জানান, হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ থেকে ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় শামীমের জামিন হয়। অস্ত্র মামলায় তাকে ছয় মাস এবং মাদক মামলায় এক বছরের জামিন দেয়া হয়।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি বিশ্বদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুই মামলায় তাকে জামিন দেন।
কিন্তু এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানত না।
মানিলন্ডারিংসহ আরও দুটি মামলা থাকায় জামিনে জিকে শামীমের মুক্তি মেলেনি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিদেশি মদ, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র্যা বের হাতে গ্রেফতার হন জিকে শামীম।
এ ঘটনায় র্যা ব বাদী হয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক আইনে মামলা করে।
জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান জিকে শামীম।
লিখিত আদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
আদেশে অ্যাডভোকেট শওকত ওসমানকে শামীমের আইনজীবী আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফআর খান), সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানার নাম উল্লেখ রয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জামিনের বিষয়টি জানেন না বলে যুগান্তরকে জানান এফআর খান।
তিনি বলেন, সাধারণত স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল সাবমিশন করেন।
এ রকম গুরুত্বপূর্ণ মামলায় জিকে শামীম জামিন পেলেন তা আমরা জানতে পারলাম না। ওই দিন আমি কোর্টে ছিলাম।
আদেশটি জাল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে জিকে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র ও মাদক মামলায় জিকে শামীম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
দুই মামলায় জামিননামা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এ দুটি মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আছে।
এ দুটিতে তিনি জামিন পাননি।
এ কারণে এখনই তার মুক্তি মিলছে না।