আপডেট: মার্চ ৮, ২০২০
বানারীপাড়ায় দুই সতিনের চুলোচুলী ও স্বামীর নির্যাতনের পর ছোট বউ শারমিন বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ছোট বউ শারমিন বেগম (২৮) এর পিতা দুলাল বেপারী বাদী হয়ে স্বামী মৎস্যজীবী মন্টু মৃধা (৪৫) ও সতিন সকিনা বেগম (৪২) কে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল ওই রাতেই মামলাটি তদন্ত করার জন্য এস.আই আসাদুর রহমানকে নির্দেশ দেন।
এস.আই আসাদুর রহমান ওই রাতে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের শাহালম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি উপজেলার গোয়াইলবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শারমিন বেগমের সতিন নকিনা বেগমকে গ্রেফকার করেণ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে শারমিনের স্বামী মন্টু মৃধা অন্যত্র সটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর পূর্বে উপজেলার গোয়াইলবাড়ি গ্রামের মৎস্যজীবী মন্টু মৃধার সঙ্গে একই এলাকার দিন মজুর সেলিম মাঝির স্ত্রী শারমিন বেগম (দুই সন্তানের মা) এর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসার সময় আপত্তিকর অবস্থায় ধরাপড়ে ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা দেয়ার কিছু দিন পরেই তাকে বিয়ে করে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের শাহালম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে আসছিল।
এ সময় মন্টু মৃধা নিয়মিত তার প্রথম স্ত্রী সকিনা বেগম ও দুই সন্তানের ভরনপোষন দেননী।
ফলে সকিনা বেগম ÿিপ্ত হয়ে শনিবার সকালে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের শাহালম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে সতিন শারমিনের সাথে ঝগড়া-ঝাটি ও চুলোচুলি করে।
পরে স্বামী মন্টু মৃধা বাসায় এসে এ ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রী শারমিনকে বেদম মারধর করে।
পরে ওই দিন দুপুরে মন্টু মৃধা থানা তার স্ত্রী শারমিন বেগম ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে বলে থানা পুলিশকে অবহ্নিত করে সটকে পরে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শারমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ও সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী করে থানায় নিয়ে আসে।
রোববার সকালে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য শারমিনের লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ জানান।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল বলেন, আমরা ঘটনাস্থল তদন্ত করে শারমিন’র লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এছাড়া তাকে আত্যহত্যার প্রোরচনা করার অপরাধে তার সতিনকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছি।