২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

ইতালিতে করোনায় এক দিনে মারা গেল ১৯৬ জন

আপডেট: মার্চ ১২, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতালি সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

বুধবার ইতালিতে রেকর্ড সর্বোচ্চসংখ্যক ১৯৬ জন মারা গেছে।

যা একদিন পূর্বে মঙ্গলবার ছিল ৯৭ জন।

নতুন করে আক্রান্তের দিক দিয়েও একদিনে সর্বোচ্চ ছিল গতকাল ২,৩১৩ জন।

যা আগের দিনের তুলনায় ১,৩৩৬ জন বেশি।

সুস্থ হওয়ার হারও ছিল উদ্বেগজনক গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪১ জন।

সব মিলিয়ে বিশ্বের ১২১টি আক্রান্ত দেশের মধ্যে ইতালি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৪৬২ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা চরম আতংক, উদ্বেগ ও মহাবিপাকে পড়েছেন।

পর্যটন, রেস্টুরেন্টসহ পুরো ইতালির ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমেছে ব্যাপক ধস।

হাজার হাজার প্রবাসী কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।

প্রতিটি শহরের অলিগলি ফাঁকা হয়ে গেছে। কেবল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির জন্য সুপার সপ ও দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় ও লম্বা লাইন দেখা গেছে।

রাজধানী রোমের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, বিমান, রেল যোগাযোগ অনেকটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকশূন্য পুরো ইতালি।

নতুন করে কোনো হোটেল বুকিং গত দুসপ্তাহ নেই।

আর যারা বুকিং আগেই করেছে সেসব কোনো পর্যটক ইতালি প্রবেশ করতে পারছে না।

সব মিলিয়ে পর্যটকশূন্য রোমসহ পুরো দেশ।

পর্যটকনির্ভর রোমসহ পুরো ইতালি।

করোনাভাইরাস আতংকে নতুন করে কোনো পর্যটক আসছে না।

এর ফলে ভ্যাটিক্যান সিটি, ক্লোসিয়ামসহ প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলো এখন পর্যটকহীন।

এসব এলাকার বিভিন্ন শপিংমল, রেস্টুরেন্ট দোকনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকলেও নেই কোনো কাস্টমার।

ফলে বাধ্য হয়ে কর্মচারীদের ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে।

এভাবে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মহীন বেকার হয়ে পড়ছেন।

রেস্টুরেন্টে কাজ করেন এমন এক প্রবাসী মো. অঞ্জন চৌধুরী ফারুক বলেন, গতকাল রেস্টুরেন্টে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা ছিলাম, একজন কাস্টমারও ঢুকেনি।

পরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়ে বলেছে, কাজের বিষয়ে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি।

প্রয়োজন হলেই ফোন করে জানানো হবে।

এদিকে শহরের প্রধান প্রধান সুপার সপগুলোতে আগের মতো প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

দুজন করে একেকবার প্রবেশ করানো হচ্ছে আর এ কারণে সপের সামনে দীর্ঘ লাইন ও প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।

রোমের পিয়াচ্ছা ভিট্টোরিওতে সাপ্তাহিক বাজার যেখানে হাজার হাজার কাস্টমার প্রতিদিন আসেন সেখানে বুধবার ছিল প্রায় সবই ফাঁকা।

হাতেগোনা কিছু মানুষ দেখা গেছে তবে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে মাত্র দুজন করে।

বাজারের ১২টি প্রবেশ পথের মাত্র একটি প্রবেশ পথই খোলা ছিল।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network