আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২০
ইতালিতে আবারও নতুন করে একদিনে করোনাভাইরাসে ৩৪৯ জন মারা গেছে।
মৃত্যু যেন পিছু ছাড়ছে না ইতালির।
এর আগে গত রোববার দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ৩৬৮ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছে।
দেশটিতে একদিনে মৃত্যুর হার ৮ভাগ সুস্থ হয়েছে ৯ভাগ।
যদিও মৃত্যুর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি তবুও দিনের পর দিন জনগণ
আতংকের মাঝে দিন যাপন করেছেন।
করোনার আঘাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৮৫১।
সুস্থ হয়েছেন ২৭৪৯ জন।
এনিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৩ হাজার ৭৩ জন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সমস্যা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রায় ২৫ বিলিয়ন ইউরো দিয়ে চিকিৎসক,কর্মী,পরিবার এবং ব্যবসার জন্য সহায়তা করা হবে।
দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য।
ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা ২ হাজার মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লম্বার্ডিয়া যা সর্বোচ্চ মৃত্যু।
অন্যদিকে গতকাল নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায় নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান বার্তোলাসো মিলানো যান।
এছাড়াও ইতালি প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে, প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে সবাইকে আপাতত বাসা থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া।
এছাড়াও প্রশাসন মাইকিং করে সতর্ক করছেন বাসার বাইরে যেতে।
অন্যথায় জেল জরিমানা করা হবে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে অনেক মানুষই তেমন সচেতন হয়নি।
এখনো রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছে।
এরকম মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
করোনাভাইরাসে প্রায় ৬ কোটি জনগণ গৃহবন্দী এরমধ্যে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশিও রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
পুরো ইতালি এখন থমকে আছে এবং অর্থনৈতিক চরম ক্ষতির দিকে নতুন করে কোথাও কোনো পর্যটক আসছে না করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে ।