আতঙ্ক ছিলই।

তার মধ্যেই কলকাতায় একজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকেই সেই আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ।

এর মধ্যেই শুটিং বন্ধ করে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরেছেন টলিউডের অভিনেতা জিৎ ও অভিনেত্রী তথা সংসদ সদস্য মিমি।

লন্ডনে শুটিং করতে গিয়েছিলেন তারা।

কিন্তু সতর্কতার জন্য যেহেতু বিদেশি বিমান আসার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হয়েছে, তাই দ্রুত দেশে ফিরতে হয় তাদের।

বুধবার সকালেই কলকাতায় ফিরেছেন তারা। দু’জনেই আপাতত আইসোলেশনে থাকবেন।

কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই মিমি জানিয়েছেন, তিনি আপাতত তার কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করবেন না।

মিমি জানিয়েছেন, তার বাবার বয়স ৬৫। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি, সেলফ আইসোলেশনে থাকবেন।

মিমি ও জিৎ দু’জনেই জানান লন্ডনে তাদের শুটিং করতে কোনও অসুবিধা হয়নি।

তবে, মিমির কথায়, ‘হিথরো কিংবা দুবাই বিমানবন্দর এত খালি, আগে কখনও দেখিনি।’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি কমিটি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর সদস্য দেশগুলো থেকে কোনও ব্যক্তি ১৮ মার্চের পর আর ভারতে ফিরে আসতে পারবে না।

পুনরায় দেশে ফিরতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

আর সেজন্যই বাধ্য হয়ে গোটা টিমকে চটজলদি এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

বাকিংহামশায়ার, ‘বাজি’র শুটিং চলছিল। সেখানেই ছিলেন দু’জনে।

কিছুদিন আগেই যান তারা। যাওয়ার আগে মাস্ক পরে ছবিও পোস্ট করেছিলেন মিমি।

এদিকে, কলকাতায় প্রথম একজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাজ্যের পদস্থ এক আমলার ছেলে মারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কাবু৷

১৫ মার্চ ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় ফেরেন ওই তরুণ৷ বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সময় করোনার কোনও উপসর্গের দেখা মেলেনি৷

পরে বেলেঘাটা আইডিতে যেতে বলা হয় তাকে৷

সোমবার হাসপাতালে গেলে তাকে বাড়িতে কোয়েরান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়৷

মঙ্গলবার ওই তরুণকে ফের আইডি হাসপাতালে ডাকা হয়৷ এদিনই তার করোনা পরীক্ষা হয়৷

সন্ধ্যায় তরুণের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে৷ শুধু ওই তরুণই নন৷

তার মা-বাবা ও গাড়িচালককেও আইডি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে৷