আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২০
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জন মারা গেছে।
যা সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু হল।
এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯শ ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার জনগণকে নিশ্চিত সুরক্ষা দিতে।
যার ফলে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রেখেছে।
চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে।
তবু যেন মৃত্যু থামছে না লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে।
করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনদিন দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
করোনা একদিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ২০৭ জন।
যার ফলে দিনের পর দিন জনগণের মাঝে আতংক বেড়েই চলেছে।
ভয়-আতংকে দিন যাপন করেছে স্থানীয় এবং অভিবাসীরা।
করোনার আঘাতে বাড়ছে গুরুতর অসুস্থ রোগী ২ হাজার ২৫৭ এবং বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও, সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৫ জন।
চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৭১০ জন।
গতকালের তুলনায় সুস্থ রোগী বেড়েছে ২ হাজারেরও বেশি।
এনিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ হাজার ৭১৩ জন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সমস্যা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন।
দেশের জনগণের আর্থিক সমস্যা মেটাতে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিচ্ছে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ইউরো।
অন্যদিকে ২৫ বিলিয়ন ইউরো যা দিয়ে চিকিৎসক,কর্মী,পরিবার এবং ব্যবসার জন্য সহায়তা করা হবে।
দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।
ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ড ২ হাজার মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লম্বার্ডিয়ায়।
অন্যদিকে নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায় নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান মিলানো যান।
এছাড়াও কোভিড-১৯ বুধবার কেড়ে নেয় ইতালির এক চিকিৎসকের প্রাণ।
ড. মার্চেল্লো নাতালি (৫৭) লোম্বারদিয়া বিভাগের লোদি প্রভিন্স ফ্যামিলি চিকিৎসক এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, তার শরীরে পূর্বে থেকে কোন অসুস্থতা ছিল না।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে ক্রেমোনা সিটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে গেলে অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় মিলান মেগাসিটির একটি হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে।
সেখান থেকেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে’।