আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২০
বরিশালে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে দুই যুববকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবাররাতে তাদের ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের বাজার রোড এলাকার শাওন মিয়া (২৩) শ্বাসকষ্টও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
প্রাথমিক পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে তাকে করোনা ইউনিটে স্থানন্তর করাহয়।
অপরদিকে, রাত ৯টায় বানারীপাড়া উপজেলোর তেতলা গ্রামের স্বপনহাওলাদার (২৭) জ্বর,গলাব্যাথা ও কাশি নিয়ে জরুরী বিভাগে আসলে তাকেও করোনায় আক্রান্তসন্দেহে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ২৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে।
বিভাগের ছয় জেলার হিসেব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ৮১ জনসহ ৪৭৮ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ২০ জনসহ ৬০৭ জন, ভোলায় নতুন ৫০ জনসহ ৩২২ জন, পিরোজপুরে নতুন ৩৯ জনসহ ৩৪২ জন, বরগুনায় নতুন ৩৬ জনসহ ৩০০ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ১০ জনসহ ১৭১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকায় নতুন দু’জনসহ ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদিকে বিভাগটিতে গত ১০ মার্চ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মোট ৫৩০ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৪৪ জনের।
কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল জেলায় ১০৭ জন, পটুয়াখালীতে ১৮০ জন, ভোলায় ৬০, পিরোজপুরে ৫৩ জন, বরগুনায় ৮৩ জন ও ঝালকাঠিতে ৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব আরও জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ২ হাজার ২৩৪ জনের অধিকাংশই প্রবাসী।
এছাড়া বরগুনা ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা কর্নারে চিকিৎসাধীন চারজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শেবাচিমে নতুন করে করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছেন আরও দু’জন। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী।
পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে।
আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আর সেবক-সেবিকা, চিকিৎকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম (পিপিই) এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরো জানান, সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা হাসপাতালগুলোতে করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য জানা যাবে।