আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২০
করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরো ৩ হাজার ২৭২ জন।
এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৩৪০ জনে।
এর মধ্যে চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯২।
চীনের বাইরে মারা গেছে ২৪ হাজার ৪৮ জন।
খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৩ জন, এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার ৪৮৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৫ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ জন।
এছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৩ জন।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৬ জন আক্রান্ত রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৪ লাখ ১২ হাজার ৪৯৩ জনের অবস্থা সাধারণ।
বাকি ২৩ হাজার ৫২৩ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেয়াসুস এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
মহামারী করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে।
অধিকাংশ দেশেই রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার ফাঁকা।
যেন সব ভূতুড়ে নগরী, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে।
সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কা।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে এটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও দেশটির বাইরে এ ভাইরাস ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
গোটা ইউরোপ বিশেষ করে ইতালিকে এ ভাইরাস মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশটিতে মারা গেছে আরও ৯৬৯ জন।