১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

হুমকির মুখে পর্যটন শিল্প

আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

মহামারী করোনাভাইরাস আতঙ্কে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব।

করোনা আক্রান্ত সব দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, বিপণিবিতান, গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এখন বিশ্বজুড়েই চলছে লকডাউন।

বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি এখন টালমাটাল।

সেই সঙ্গে করোনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন।

মারা গেছেন ৫ জন।

আতঙ্কে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের মানুষ।

দেশের প্রশাসন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জনগণকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।
তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে।
এতে আবাসিক, অনাবাসিক, শিল্পাঞ্চল বা পর্যটন এলাকাও রয়েছে।

tour

ফলে করোনার এমন প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পেও।

মানুষ কার্যত গৃহবন্দি।

দেশে বা দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ নেই পর্যটকদের।

বিদেশের ফ্লাইট বন্ধ হয়েছে আগেই।

এখন অভ্যন্তরীণ রুটেও বিমান চলাচল বন্ধ।

যে কারণে বিশ্ব পর্যটন ও ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট খাতের লাখ লাখ কর্মসংস্থান হুমকিতে রয়েছে।

বিশ্ব ট্রাভেল ও ট্যুরিজম কাউন্সিলের তথ্যমতে, এ খাতের প্রায় ৫ কোটি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে রয়েছে।

সংস্থাটির প্রধান গ্লোরিয়া গুয়েভারা বলেন, ‘করোনা এ খাতের জন্য একটি বিশাল বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

tour

বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও দেশীয় পর্যটন স্পটগুলোও লকডাউন করা।

তাই পর্যটকশূন্য এখন কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, সিলেট, রাঙ্গামাটি, সোনারগাঁও, সুন্দরবন ও চট্টগ্রামসহ সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র।

শুধু তা-ই নয়, সমুদ্রসৈকত বা পাহাড়ি সৌন্দর্য ছাড়াও বিভিন্ন জাদুঘর, হোটেল, রিসোর্ট, পিকনিক স্পট, দর্শনীয় স্থানও নিষেধাজ্ঞা পালন করছে।

এমন অচলাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

কেউ ঘুরতে না যাওয়ায় দিনের পর দিন হতাশায় সময় কাটছে তাদের।

tour

ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থ্রিল বাংলাদেশের সিইও পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ‘গত ১ মাস যাবৎ আমাদের কোনো ট্যুর ইভেন্ট নেই।

যা কয়েকটা কনফার্ম করা ছিল; তা-ও বাদ দিতে হয়েছে।

এখন ট্যুর সংশ্লিষ্ট সবই অচল।

এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই কর্ম হারাবে।

বেকার হয়ে পড়বে অনেক গাইড।

উপার্জন না হলে অফিস চালানোই মুশকিল হয়ে পড়বে।’

Tour

বিশ্ব পর্যটক তানভীর অপু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন শিল্প বিরাট হুমকির মুখে পড়বে।

সারা পৃথিবীতে এখন ভ্রমণ নিষেধ।

তাই মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারছে না।

অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে হোটেল, রেস্টুরেন্ট সব বন্ধ হয়ে গেছে।

এ হুমকি কাটিয়ে উঠতে খুব বেগ পেতে হবে।’

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network