১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

করোনাকালে সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি

আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা , প্রধান সম্পাদক, জিটিভি

করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারে যেসব পেশাজীবীর নাম বড় ঝুঁকির তালিকায় উঠে আসছে, তাদের মধ্যে সবার আগে আছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

কিন্তু যাদের নাম কেউ বলছে না, তারা হলেন এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে মানুষকে তথ্যসেবা দিয়ে যাওয়া সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বিপদে থাকাদের দলে সাংবাদিকরাও যে আছেন, তার বড় প্রমাণ উঠে এলো গতকাল শুক্রবার।

জানা গেল, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক কর্মী।

ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাকে।

এছাড়া ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

আক্রান্ত কর্মী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেও জানান তিনি।

আমরা জানি মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের কোনো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, তাই যে কেউই আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে রোগাক্রান্ত হয়ে উঠতে পারেন।
সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্র মানুষের মাঝেই।
তাই তাদের ঝুঁকিটা আসলে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের চেয়েও বেশি।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নামের এক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ বিপন্ন।

দ্রুত ধাবমান ভাইরাসের গতিতে শিল্প-বাণিজ্যের উদ্দাম গতি থমকে দাঁড়িয়েছে।

এমনটা চললে অনেক প্রতিষ্ঠান বড় সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি সংবাদমাধ্যমেও একই কালোমেঘ।

করোনা-উত্তর সময়ে মানুষ কবে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে ফিরবে, তার উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে।

কিন্তু অন্যসব জরুরি সেবার মতো গণমাধ্যমকর্মীরা ঘরে বসে নেই, মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে তারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

এমন এক কঠিন সময়ে মূলধারার গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও বেতার এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলা অনলাইনগুলো শুধু মানুষকে তথ্য সেবাই দিচ্ছে না, অনেক সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যপ্রচারকেও মোকাবিলা করে চলেছে।

মহামারির সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network