আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২০
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা , প্রধান সম্পাদক, জিটিভি
করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারে যেসব পেশাজীবীর নাম বড় ঝুঁকির তালিকায় উঠে আসছে, তাদের মধ্যে সবার আগে আছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কিন্তু যাদের নাম কেউ বলছে না, তারা হলেন এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে মানুষকে তথ্যসেবা দিয়ে যাওয়া সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বিপদে থাকাদের দলে সাংবাদিকরাও যে আছেন, তার বড় প্রমাণ উঠে এলো গতকাল শুক্রবার।
জানা গেল, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক কর্মী।
ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাকে।
এছাড়া ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আক্রান্ত কর্মী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নামের এক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ বিপন্ন।
দ্রুত ধাবমান ভাইরাসের গতিতে শিল্প-বাণিজ্যের উদ্দাম গতি থমকে দাঁড়িয়েছে।
এমনটা চললে অনেক প্রতিষ্ঠান বড় সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি সংবাদমাধ্যমেও একই কালোমেঘ।
করোনা-উত্তর সময়ে মানুষ কবে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে ফিরবে, তার উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে।
কিন্তু অন্যসব জরুরি সেবার মতো গণমাধ্যমকর্মীরা ঘরে বসে নেই, মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে তারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
এমন এক কঠিন সময়ে মূলধারার গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও বেতার এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলা অনলাইনগুলো শুধু মানুষকে তথ্য সেবাই দিচ্ছে না, অনেক সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যপ্রচারকেও মোকাবিলা করে চলেছে।
মহামারির সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।