• ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে বিধবা ভাবিকে নির্যাতনের ঘটনায় দুই দেবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।

report71
প্রকাশিত এপ্রিল ২৯, ২০২০, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ
আমতলীতে বিধবা ভাবিকে নির্যাতনের ঘটনায় দুই দেবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

বরগুনার আমতলীতে জমির জন্য বিধবা ভাবী আমেনা বেগমকে নির্যাতনের ঘটনার বুধবার আমতলী থানায় দুই সৎ দেবর মনির মৃধা ও দুলাল মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে ওসি শাহ আলম হাওলাদার বুধবার সকালে আমতলী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বিধবার খোজ খবর নেন এবং আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন।

ওসির আশ্বাস পেয়ে বুধবার বিকেলে আমেনা বেগম থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কালিপুরা গ্রামের মৃত্যু জাকির হোসেন মৃধা পৈত্রিক সূত্রে ৩৩ শতাংশ জমি পেয়েছে।

ওই জমির সাড়ে ১৬ শতাংশে তার স্ত্রী আমেনা বেগম বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে।

কিন্তু অপর সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি সৎ দেবর মনির ও দুলাল মৃধা নিজেদের জমি দাবী করে আমেনাকে ভোগ দখল করতে দিচ্ছে না।

গত দুই বছর ধরে ওই জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বিধবা আমেনা বেগমের সাথে এ জমি নিয়ে সৎ দেবর মনির ও দুলালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

এতে ÿিপ্ত হয়ে মনির ও দুলাল মৃধাসহ ৬-৭ জনে আমেনা ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায়।

প্রত্যÿদর্শীরা জানায় আমেনাকে দুই ননদ মিনি ও জাকিয়া জাপটে ধরে হাত ও পা বেঁধে ফেলে এবং মনির ও দুলাল মৃধা গাব গাছের লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে।

কয়েক দফায় তার উপর নির্যাতন চালায় তারা।

তাকে নির্যাতনের দৃশ্য এলাকার শত শত মানুষ দাড়িয়ে প্রত্যÿ করে।

কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যেতে সাহস পায়নি।

পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এলাকাবাসী এ ঘটনার সাথে জড়িত দুলাল ও মনির মৃধাকে দ্রæত গ্রেফতার করে বিচার দাবী করেছেন।

খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বিধবার খোজ খবর নেন এবং আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন।

বুধবার আমেনা বেগম বাদী হয়ে সৎ দেবর মনির মৃধা ও দুলাল মৃধাসহ পাঁচ জনের নামে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।

পুলিশ অভিযোগটি গ্রহন করে তদন্ত সাপেÿে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

বিধবা আমেনা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর কেউ নাই। মোর আছে আলøা। মোরে মনির আর দুলাল যে নির্যাতন হরছে মুই ওসি স্যারের কাছে এইয়্যার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বিধবার খোজ খবর নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্ত সাপেÿে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।