যশোরের শার্শা উপজেলার সাদিপুর সীমান্ত থেকে ‘উদ্ধার হওয়া’ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে তার দুই হাত পেছনে দিয়ে হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় যশোর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।
কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে একটি মামলা করে বিজিবি।
সেই মামলায় আদালত কাজলের জামিন আবেদন মঞ্জুরও করেন।
কিন্তু কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর তিনটি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা রয়েছে, কাজলের ফরোয়ার্ডিংয়ে পুলিশ সেই মামলাগুলোর কথাও উল্লেখ করে।
এর সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫৪ ধারায় একটি মামলা দেওয়া হয়।
আদালত ৫৪ ধারার মামলায় কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যশোর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এএসআই সুবোধ ঘোষ জানান, সাংবাদিক কাজলকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর কথা তুলে ধরে।
কাজলের আইনজীবী দেবাশীষ দাসকে উদ্ধৃত করে তার সহকারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ জানান, পুলিশ কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা ছাড়াও রাজধানীর তিনটি থানায় দায়ের হওয়া আরও তিনটি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করে।
এই তিনটি মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা।
গত ৯, ১০ ও ১১ মার্চ মামলা তিনটি শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গির চর থানায় দায়ের করা হয়েছিল।
আদালত এই মামলা তিনটির ব্যাপারে কোন আদেশ দেননি।
সদর আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের এটিএসআই সন্তোষ কুমার বিশ্বাস জানান, ৫৪ ধারায় রুজু করা মামলায় আদালত বিকেলে সাংবাদিক কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সেই অনুযায়ী সন্ধ্যার আগেই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।