আপডেট: মে ৩, ২০২০
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রানঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এরপর থেকেই চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সে সময় চীনের গন্ডি পেরিয়ে এই ভাইরাস অন্যান্য দেশেও হানা দিতে শুরু করে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীন এই মহামারির বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত পাঁচদিনে দেশটিতে নতুন করে মাত্র দু’জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অপরদিকে গত পাঁচদিনে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এটা চীনের জন্য অনেকটাই স্বস্তির।
গত কয়েক মাসে লাশের সারি দেখা চীনে কয়েকদিন ধরে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটনায় লোকজনের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন বহিরাগত এবং অপরজন উত্তরাঞ্চলীয় সানসি প্রদেশের স্থানীয় বাসিন্দা।
এদিকে, উপসর্গবিহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ জন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৮৭৭ জন।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
তবে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৭ হাজার ৭১৩ জন।
দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৫৩১টি এবং ৩৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।