আপডেট: মে ১১, ২০২০
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের এমপি কমরেড রাশেদ খান মেনন ৫০ লক্ষ মানুষকে মাসে আড়াই হাজার করে নগদ সহায়তা প্রদানের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সঠিক ও সাহসী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে মেনন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কর্মহীন হয়ে যাওয়া মানুষকে এই সহায়তা প্রদান তাদের যেমন আত্মবিশ^াস ফিরিয়ে আনবে, তেমনি অর্থনীতিতেও চাহিদা সৃষ্টি করে তাকে সচল করতে সাহায্য করবে। মেনন বলেন পাশের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তবে এ অর্থ প্রদানের জন্য যে সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে কার্ড প্রণয়নে তালিকা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে তাতে সিটি কর্পোরেশন অন্তর্গত ওয়ার্ডসমূহের সঠিকভাবে কার্ড প্রণয়ন ছিল এক দুঃসাধ্য কাজ। এক্ষেত্রে অতীত আমলের মতই আমলাতান্ত্রিক হুকুমনামা প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দিতে পারত। সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত এক দেড় দিনের মধ্যে বিশাল প্রশ্নমালা পূরণ করে কম্পিউটারে আপলোড করা ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। তা’ছাড়া কোন কাউন্সিলর অফিসই সেই জনবল ও সুবিধা নাই। তারপরও কর্মীদের সাথে নিয়ে কাউন্সিলররা যে কাজটি করেছেন তার জন্য তিনি তাদের অভিনন্দন জানান।
রাশেদ খান মেনন আজ ১১ মে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্পাদকমÐলীর সাথে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০০ কার্ডের তালিকা প্রণয়নের বিষয় পর্যালোচনা করতে গিয়ে এ কথা বলেন। তিনি এ কাজে সহায়তা করার জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমÐলীকে ধন্যবাদ জানান।
পর্যালোচনায় বলা হয় যে কর্মহীন হয়ে পরা হকার, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী, হোটেল, রেস্তোরা, বেকারেী শ্রমিক সহ শ্রমজীবী মানুষদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে তালিকা করে সমন্বয় করতে পারলে এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা ও কেউ বাদ পরে না যাওয়া সম্ভব হত।
রাশেদ খান মেনন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজের মত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী, বেসরকারি স্কুল কলেজের জন্য ঈদের আগেই তহবিল ঘোষণা করার আহŸান জানান। তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যেসব সংবাদকর্মী ও পুলিশ কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমÐলীর সভায় মহানগর সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়, সদস্য তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু ও আনোয়ারুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।