আপডেট: মে ১৯, ২০২০
মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর(বরিশাল)ঃ
‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গান আমাদের মনে করিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য। বৈশাখের আকাশে গনগনে সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া তখন জানান দেয় তার সৌন্দর্যের বার্তা। গ্রীষ্মের এই নিস্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরে আপন মহিমায়। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি, যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের দ্যোতনা। এই সময়টায় সারা দেশের মতোই উজিরপুরের জয়শ্রী সড়কের পাশেই দাড়িয়ে থাকা সেই শতবর্ষের কৃষ্ণচুড়া গাছে এখন লাল কৃষ্ণচুড়া ফুলে প্রকৃতির অপরুপ দ্যৃশটি যেন চোখে পড়ার মতো। একনজর দেখে মনের পিপাসা মিটিয়ে নিচ্ছেন হাজারো প্রকৃতি প্রেমী মানুষেরা। যে কোন সৈন্দর্য্য হার মানিয়ে গাছটি তার চেনা সেই রূপ মেলে ধরেছেন হেমন্ত’র শেষে গাছের পাতা গুলোও হারিয়ে গেছে রাঙ্গা সৈন্দর্য্য।ে গাছটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমিতে রোপন করা প্রায় শত বছর ধরে সেই কৃষ্ণচুড়াটি বছরে একবার তার রুপের ঝলকানীতে মুগ্ধ করেন প্রকৃতিকে। তার সাথে মানুষও গাছটির মেলেধরা রুপের দ্রশ্যটি উপভোগ করে নয়ন ভরে। গাছটির পাশে আরও একটি একই প্রজাতির গাছ ছিল কয়েক বছর আগে ঝড়ে সেই কৃষ্ণচুড়াটি ভেঙ্গে পরলে এখন একাই দাড়িয়ে রয়েছে । বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী এলাকায় সড়কের পাশেই গাছটি অবস্থান হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরাও গাছটির দিকে এক নজর চোখ মেলে তাকিয়ে গাছে ভরা কৃষ্ণচুড়া ফুলের সৈন্দর্য্য উপভোগ করছেন।
এর নাম নিয়ে স্থানীয় অনেকেরই ধারণা, রাধা ও কৃষ্ণের সাথে নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে যখন এই ফুল ফুটে তখন এর রূপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও থমকে তাকাতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত।শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব বহন করে। শখের বশে এ গাছের কদর থাকলেও; এর কাঠ তুলনা মূলক দামী না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছ বপনে আগ্রহ অনেক কম
জয়শ্রী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাছটি সড়কের পাশে হওয়ার কারনে অবহেলায় অযতেœ পরে থাকার পরও প্রতিবছরই তার আসল রুপের ঝলক মেলে ধরতে কার্পন্যতা করছেন না। প্রায় ১শত বছর ধরে গাছটি সড়কের পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। বৃক্ষ নিধনের শিকার হয়ে দিন দিন কমে যাচ্ছে রঙিন এই গাছ। একসময় এ গাছ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির স্বার্থেই বেশি করে কৃষ্ণচুড়া গাছ লাগানোর আহŸান জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।