আপডেট: মে ২৪, ২০২০
পটুয়াখালীর বাউফলে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি আসম ফিরোজ ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (৩৫) নিহত হয়েছেন।
এছাড়া উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এমপি সমর্থক বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার রাতে বাউফল থানার সামনে তারই শুভেচ্ছা বার্তা দেয়া পুরনো তোরণটি সরিয়ে নেন।
বুধবার দুপুরে ওই স্থানে তোরণ নির্মাণ করছিলেন পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের অনুসারী নেতা কর্মীরা।
এসময়ে তাদেরকে তোড়ন নির্মাণে বাঁধা দেন ইব্রাহিম ফারুকসহ এমপি আসম ফিরোজের সমর্থকরা।
খবর পেয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে গেলে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা।
এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
এ সময় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে উভয় গ্রুপের নেতা কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
সংঘর্ষ থামতে কয়েক দফা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
পরে বিষয়টি নিয়ে বাউফল থানায় সমঝোতা বৈঠক চলাকালে থানার বাইরে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় এমপি সমর্থক তাপস ও পঙ্কজকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এছাড়া আহত হয় আরও ৮/১০ জন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পৌর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহিন বিন কাসেম জানান, তাপস দাস ও ইমাম হোসেন (৩৬) নামে অপর এক যুবলীগ কর্মীকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৭টার দিকে তাপস দাস মারা যান।
তাপস দাসের পেটে ছুরিকাঘাতের কারণে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।