আপডেট: জুলাই ১, ২০২০
যাত্রাটা শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, নব্বই দশকের শেষদিকে। সেখানে বাজিমাত করে নাম লেখান নাটক-টেলিছবির অভিনয়ে।
এরপর আসেন সিনেমায়। পরের গল্পটা কেবলই সাফল্যের। একের এক পর চমক দেখিয়ে চলেছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে।
ঢাকার পাশাপাশি তার অভিনয়ের মায়ায় বাঁধা পড়েছে কলকাতার সিনেমার দর্শকও।
আজ সেই প্রিয়মুখ জয়া আহসানের জন্মদিন। জীবনের সুন্দর এই দিনটিতে বন্ধু-সহকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় ভাসছেন জয়া।
প্রসঙ্গত, জানা গেছে, জয়া আহসান জন্ম গোপালগঞ্জে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা।
তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
শোবিজে জয়া আহসানের নানামুখী সাফল্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল সিনেমার ক্যারিয়ার।
সেই ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু তার। দিনে দিনে ক্যারিয়ারে যোগ করেছেন অনেক সফল ও প্রশংসিত সিনেমা।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি ‘ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া অভিনেত্রী। দেশের হয়েও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন জয়া আহসান।
প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ২০১১ সালে নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য।
এরপর ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’ ও ‘দেবী’র জন্যও বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন জয়া।
মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’সহ জয়া অভিনীত বেশকয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
জয়া আহসানের বয়স নিয়ে অনেক চর্চা হয় মিডিয়াতে।
তবে সেসব চর্চার চেয়ে সবচেয়ে বড় আলোচ্য হলো তার সমসাময়িক অভিনেত্রীরা যখন শোবিজে ম্লান হয়ে গেছেন তখন তিনি রূপ-লাবণ্য আর অভিনয়ের জৌলুসে মাতিয়ে চলেছেন দুই বাংলার সিনেমার সব বয়সের দর্শক।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা বয়সকে জয় করা এই জয়াকে।