আপডেট: জুলাই ৫, ২০২০
শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার টিকিকাটায় আম্পানের জলোচ্ছাসে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধ্বস্ত সড়ক সংস্কার না করায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরমে ওঠেছে। গত এক মাসেরও বেশী সময় অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কার না করায় স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তিসহ প্রতি জোবা গোনের অতিরিক্ত ৩/৪ ফুট পানি হু হু করে লোকালয়ে ডুকে বসত বাড়ি, পাকের ঘর ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ৬নং টিকিকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের টিকিকাটা সিনিয়র মাদ্রাসার সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের সংযোগ সড়কটি (এলজিইডি) আম্পানের কবলে পড়ে। ওই রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধিতে এ সড়কের ওই মাদ্রাসা হতে গুলিশাখালী ব্রীজ (সওজ সড়ক) পর্যন্ত ১কিঃমিঃ এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তার তিনটি স্পটে ৩শ’ ফুট খাল ও ফসলি জমির মাঠের সাথে বিলিন হয়ে যায়।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, আম্পান পরবর্তী গত এক মাসে পূর্ণিমা ও আমাবশ্যার জোঁ এর প্রভাবে নদী ও খালের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধিতে জোয়ারের সময় প্রায় ২শতাধিক পরিবারের বসত ঘর পানিতে ডুবে যায়। এসময় চলাফেরা, রান্না বান্নাসহ গৃহস্থলির কাজে দারুন ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমান (৫৫) জানান, গত আমাবশ্যার জোবা গোনে মাঠে অতিরিক্ত পানি থাকায় আমন বীজ সঠিক সময়ে ক্ষেতে ফেলানো সম্ভব হয়নি। ফলে বিলম্বের কারণে তিনিসহ সকল কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার আম্পানের জলোচ্ছাসে এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা বিধ্বস্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরমে স্বীকার করে বলেন, ঝড় পরবর্তী ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের আশ^াস দিলেও গত এক মাস অতিবাহিত হলেও সংস্কারের কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাইদ মোঃ জসিম বলেন, ঝড়ে বিধ্বস্ত সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ছবি সহ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংস্কারের অনুকুলে কোন অর্থ বরাদ্ধ না পাওয়ায় রাস্তাটি সংস্কার করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।