আপডেট: জুলাই ৮, ২০২০
মংচিন থান, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২০ অর্জন করেছেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকে গত এক বছরে তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরা, বরগুনা জেলার শিক্ষা বিস্তার, তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং বরগুনার ইকো-ট্যুরিজমকে বিকাশের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তিনি ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’, মুজিব অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন , মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণ, শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গোপাল গঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘মুজিব বর্ষে মুজিবকে জানুন’ ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
বরগুনা জেলার ইকোট্যুরিজমকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তিনি শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জোছনা উৎসব, দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসব, বরগুনা জেলা ব্রান্ডিং সং, বিউটি অব বরগুনা দেয়াল, বরগুনা জেলা ট্যুরিজম এলবাম, সিডর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। বরগুনা জেলার সার্বিক উন্নয়নে তিনি বাজার ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব এনেছেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বরগুনার মানুষ বুলবুল ও আম্পান এর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ডেঙ্গু মোকাবেলা করেছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি নন্দিনী হাইজিন কর্নার নামক কর্মসূচী গ্রহণ করেন। তথ্য প্রযুক্তির অজানা বিষয়গুলো তুলে ধরতে তিনি অনলাইনভিত্তিক পেজ ‘ডিজিটাল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরী করেন। বরগুনার মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে কারাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এসব নানামুখী সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘এ স্বীকৃতির জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানাই’। পাশাপাশি তিনি বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন, ‘এটি আমার একার কৃতিত্ব নয়, এটি পুরো বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাজের স্বীকৃতি। এ ধরণের স্বীকৃতি আগামী দিনে আমাদেরকে কাজ করতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে’। তিনি সকল উন্নয়নে পাশে থাকার জন্য বরগুনাবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানান।