আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২০
সত্তরোর্ধ ফুলবানু বেগম। তার মানসিক প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তান জাহাঙ্গীর। তিন যুগ হলো অসহায় ফুলবানুকে একা রেখে স্বামী অন্যত্র বিয়ে করেছে ৷একখণ্ড জমি ছিল তার সম্বল। প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে সেই জমিতেই নামমাত্র মাথাগোঁজার ঠাঁই। একটু বৃষ্টিতেই অঝোরে পানি পড়ে, স্বাস্থ্যহানির সাথে নিরাপত্তার অভাব বোধ হয়। একদিকে ক্ষুধার তাড়না, অন্যদিকে ভাঙা বসত-অসহায়ত্বের সর্বশেষ মাত্রা ছুঁয়েছে মানবিকতা। ইত্যেবসরে সহকর্মী সহকারী পরিচালক জাবির আহমেদ যখন বিষয়টি আমার নজরে আনেন তখন আলোচনা করি সম্মাননীয় সুহৃদ জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান মহোদয়ের সাথে। তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করে দেন দু ’ব্যান্ডিল টিন এবং ছয় হাজার টাকার। মাঝে মাঝেই খোঁজ নিতে থাকি ফুলবানুর।গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ফুলবানুকে খাদ্য উপহার পৌঁছে দিতে গিয়ে দেখি এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য।ফুলবানু এলাকাবাসীর সহায়তায় একটি পাকা ঘর তুলেছেন।স্বউদ্যোগে তার এই প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান হয়েছে।নির্মম অমানিবকতার লাঘব হতে দেখে প্রাণিত হয়েছি।ফুলবানুর প্রতি বাড়িয়ে দেয়া সাহায্যের হাতগুলো সমবেত হলে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব আবারও সেই প্রতীতী জন্মালো।জয় হোক মানবতার।