আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
আমতলী প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী উপজেলার যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্বামী মানিক খাঁন স্ত্রী মার্জিয়া আক্তারের শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাকা এবং চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় ননদ জাকিয়া বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে পুলিশ জাকিয়াকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০০৯ সালে উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক খাঁনের মেয়ে মার্জিয়াকে বরগুনা সদর উপজেলার দুপতি গ্রামের আনোয়ার খানের ছেলে মানিক খাঁনের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরে শ^শুর খালেক খাঁন জামাতা মানিককে বাড়ী নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা দেন। ওই টাকা দিয়ে মানিক শ^শুর বাড়ীর পাশে বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। গত তিন বছর ধরে স্বামী মানিক স্ত্রী মার্জিয়া ও দুই কন্যার কোন খোজ খবর নিচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার মানিক শ^শুর বাড়ীতে আসেন এবং স্ত্রীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যান। ওইদিন রাত ১১ টার দিকে স্বামী মানিক ব্যবসার কথা বলে স্ত্রী মার্জিয়ার বাবার কাছ থেকে ফের দুই লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। এ টাকা দিতে স্ত্রী অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয় মানিক। পরে মানিক স্ত্রী মার্জিয়াকে বেধরক মারধর শুরু করে। এক পর্যায় স্বামী মানিক, ননদ জাকিয়া ও শ^াশুড়ী আলেয়া মিলে মার্জিয়ার শরীরের ১২টি স্থানে গরম খুন্তির ছ্যাকা এবং চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার বোরবার রাতে তালতলী থানায় স্বামী মানিক খানকে প্রধান আসামী করে মার্জিয়া বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই ননদ জাকিয়া বেগমকে ছোট আমখোলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। সোমবার বিকেলে পুলিশ জাকিয়াকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আসামী ননদ জাকিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।