আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার পেয়াঁজের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে অতিরিক্ত মুল্যে পেয়াঁজ বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। দেশি পেয়াঁজ প্রতিকেজি ১০০ এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়াঁজের বাজার অস্থির থাকায় ক্রেতাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। বুধবার দুপুরে পেঁয়াজের মুল্য নিয়ন্ত্রনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযান করে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
জানাগেছে. ভারত থেকে বাংলাদেশে পেয়াঁজের আমদানী বন্ধের গুজব সারা দেশে ছড়িয়ে পরে। এ সুবাধে আমতলীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। প্রতিকেজি দেশী পেয়াঁজ ১০০ এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ৮০ টাকায় বিক্রি করে। অনেক পাইকারী ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজ গুদাম থেকে সরিয়ে কৃত্রিম সংঙ্কট দেখিয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। তারা অযুহাত তুলছেন মোকামে পেয়াঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাই পেয়াঁজের সংঙ্কট বেশী এবং বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বুধবার আমতলী বাজারের বাধঘাট চৌরাস্তা, একে স্কুল ও পুরাতন বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পাইকারী প্রতিকেজি দেশী পেয়াঁজ ৯০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ওই পেয়াঁজ ১০০ টাকা এবং ৮০ টাকায় বিক্রি করছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত থেকে পেয়াঁজ আমদানী বন্ধের খবরে বাজারে পেয়াঁজ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খবরে আমতলী পাইকারী ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছে। তারা আরো বলেন, বেশী দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশী দামে বিক্রি করছি। এদিকে পাইকারী বাজারেও পেয়াঁজের দামের তারতাম্য রয়েছে। বাঁধঘাট চৌরাস্তায় মুন্না ট্রেডার্সে দেশী পেয়াঁজ ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ৬০ টাকা, ইব্রাহিম ট্রেডার্সে একই দেশী পেয়াঁজ ৯০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ৬৫ টাকা ও শহীদুলের দোকানে দেশী পেয়াঁজ নেই ভারতীয় পেয়াঁজ ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। এদিকে বুধবার দুুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম ও র্যাব-৮এর সিপিসি-১ মোঃ রবিউল ইসলাম যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। তারা শহীদুল ট্রেডার্সের মালিক মোঃ শহীদুল ইসলামকে ত্রিশ হাজার এবং নিমাই চন্দ্রকে পনের হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেনেটারী পরিদর্শক মোসাঃ সাবেরা পারভীন ও আমতলী পৌরসভা সেনেটারী পরিদর্শক মোঃ কবির হোসেন।
ক্রেতা শাহজাহান খলিফা ও রাজু সরদার বলেন, ১০০ টাকা কেজি দরে দেশী পেয়াঁজ কিনেছি।
আমতলীর পাইকারী ব্যবসায়ী মোঃ মুন্না বলেন, ভারত থেকে পেয়াঁজ আসা বন্ধের খবরে মোকামে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে পেয়াঁজ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ইব্রাহিম ট্রেডার্সের মালিক নান্নু বলেন, পেয়াঁজ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মোকাম থেকে বেশী পেয়াঁজ আনতে পারছি না। তাই পেয়াঁজ সংঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বরগুনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বেশী দামে পেয়াজ বিক্রি করায় দুই প্রতিষ্ঠানে পয়তাল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে পেয়াঁজ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।