আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
ডেক্স রিপোর্ট
বাকেরগঞ্জে ছাত্রদলের নেতা হতে চাইছেন বিবাহিতরাও। ছাত্রদলের কাউন্সিলে বিবাহিতরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে পারবেন না বলে বিএনপির পক্ষ থেকে শর্ত আরোপ করা হলেও বাকেরগঞ্জের ক্ষেত্রে যেন এর ব্যতিক্রম। কিন্তু দলের এমন শর্ত উপেক্ষা করে বিবাহিতদের কেউ কেউ বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের একাধিক প্রার্থী এমন অভিযোগ করেছেন।
বিবাহিত প্রার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু বলেন, মনোনয়নপত্রে দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই হচ্ছে। বিবাহিতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গোপনে ছাত্রদলের প্রার্থীদের সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের অন্যতম নেতা মোঃ রুবেল খান বলেন, যে কেউ ছাত্র দলের প্রার্থী হতে চাইলেই পারবেনা। ছাত্রদলের নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে কষ্টিপাথরে যাচাই করে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সুপার ফাইফ বিতর্কিত কোন ছাত্রনেতাকে কমিটিতে রাখবেন না এটাই প্রত্যাশা আমাদের।
সর্বশেষ ২০০৩ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। এর আগের বেশিরভাগ কমিটি গঠনের সময় বিবাহিতদের শীর্ষ পদে রাখা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রার্থী ও ছাত্রদল নেতা বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন এমন কয়েকজন নেতার বিবাহ অনুষ্ঠানেও আমরা যোগ দিয়েছি। তাদের কেউ কেউ বাবাও হয়েছেন। যদিও এখন তারা অবিবাহিত বলে দাবি করছেন।
সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ ফয়সাল খান বিবাহিত। তার একাধিক বিয়ের কাবিনের কাগজ এ প্রতিবেদককে হাতে পৌঁছেছে। ২০১৩ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের আশ্রাফ আলী হাওলাদারের আমেরিকা প্রবাসী কন্যা রুমা আক্তারের সাথে প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ফয়সাল খান রুমাকে ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর তারিখ তালাক দিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বব বরিশাল কোতয়ালী থানার দক্ষিণ আলেকান্দা কাজী পাড়ার কমিজউদ্দিন সিকদারের কন্যা মিলি আক্তারকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রদলের ক্ষেত্রেও অনেকে বিবাহিত আবার কেউবা চাকুরিজীবী। পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মোঃ কবির হোসেন, রুহুল আমিন, রাজিব হোসেন। প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ রাজিব হোসেন খান চাকুরীজীবী।
সভাপতি প্রার্থী লিটন মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রদলের প্রার্থী হতে হলে অবিবাহিত হতে হবে। কিন্তু উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে যারা প্রার্থী হতে চাইছেন তাদের অধিকাংশই বিবাহিত।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা বিবাহিত হতে পারবে না বলে বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ তিনি বলেন, আমরা চাই শর্ত অনুযায়ী বিবাহিতরা যেন কেউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে না পারে। বিবাহিত কাউকেই ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।