২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

মুজিববর্ষের উপহার : পাকা বাড়ি পাচ্ছে ৯ লাখ গৃহহীন পরিবার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীন ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশের পর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে এ কর্মসূচিতে মোট ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৮২ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে অর্থাৎ মুজিববর্ষে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার। আগামী মার্চের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এবার সারা দেশের ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে একটি পূর্ণাঙ্গ পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর মধ্যে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ২৮৩টি এবং জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫০টি। এজন্য সুবিধাভোগীকে কোনো ধরনের টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। আমরা দ্রুত এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর তাগিদ দেয়া হয়েছে।’

চলতি বছর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচির চিন্তা করছি। জাতির পিতা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পায়। তার স্বপ্ন ছিল একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এজন্য তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন।

এখনও আমাদের দেশে নদীভাঙনে মানুষ গৃহহারা হয়। দেশে কিছু মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, যারা ভূমিহীন, গৃহহীন। আমি চাই মুজিববর্ষ আমরা উদযাপন করছি, এ মুজিববর্ষের ভেতরেই গৃহহীনদের ঘর করে দেব। বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সরকার জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে।

আর তার জন্ম তারিখ অর্থাৎ ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিববর্ষের কর্মকাণ্ড। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ২ মার্চ মন্ত্রিসভার অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে মুজিববর্ষের কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ‘অহেতুক’ নতুন কর্মসূচি না নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নিজেদের বাজেট থেকে মানুষের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে এমন কর্মসূচি নেয়ার নির্দেশনা দেন।

এরপরই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় হতদরিদ্রদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দেয়ার প্রকল্পটি মুজিববর্ষ উপলক্ষে কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা দেয়া যেতে পারে। তাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিটি গ্রামের একজন করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩ মার্চ একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এটি চূড়ান্ত করা হয়।

সেখানে জানানো হয়, দেশে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারকে পাকা বাড়ি করে দেয়া হবে। এটিই মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এক তলাবিশিষ্ট দুই বেডের এই পাকা বাড়িতে থাকবে ড্রয়িংরুম, বারান্দা, টয়লেট, কিচেনসহ একটি পরিবারের বসবাসের উপযোগী বাসগৃহ।

আপাতত এ প্রকল্পে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের টিআর-কাবিখার কর্মসূচির সোলার প্যানেল ও বায়োগ্যাস বাবদ ৫০ শতাংশ খরচ স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের অর্থও সমন্বয় করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগে এসব প্রকল্পের ঘরগুলো ভিন্ন ডিজাইনের হতো। এখন একই ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network