আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২০
নলছিটি প্রতিনিধিঃ নলছিটিতে ধর্ষণ চেষ্টা ধামাচাপা দিতে বাড়ি ঘরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগে ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার লিখিতভাবে উল্লেখ করেন, আমি নিম্ম স্বাক্ষরকারী পারভীন আক্তার(৩৪), পিতা: মো: আ: রাজ্জাক হাওলাদার, সাং কাটাখালি মোল্লারহাট বাজার, উপজেলা: নলছিটি, জেলা: ঝালকাঠি এই মর্মে জানাইতেছি যে, বিবাদী ১। মো: অলি শেখ, পিতা: নুর মোহাম্মদ শেখ ২। ইয়ারুল খান ৩। ফোরকান খান, ৪। সবুজ খান, সর্ব পিতা: সেকেন্দার আলী খান, ৫। সমীর শেখ, পিতা: নুর ইসলাম শেখ, ৬। নুর হোসেন, ৭। নুর ইসলাম, সর্ব পিতা: আজিম উদ্দিন শেখ ৮। জাফর খান, পিতা: আঃ জব্বার, ৯। রানা মোল্লা পিতামৃত: আ: বারেক মোল্লা, সর্ব সাং চর আমতলী, উপজেলা: নলছিটি, জেলা: ঝালকাঠিসহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী মিলিয়া আমার এবং পরিবারের জান মাল ও ইজ্জত নষ্ট করার চেস্টা চালাইতেছে। গত ৪ অক্টোবর’২০ তারিখ অনুমানরাত ৪ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আমি ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে টয়লেটে যাওয়ার পথে ১,২,৩,৪,৫,৮ নং বিবাদীরা আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে শরীরের লজ্জা স্থানে হাত দেয়। এতে আমি ডাক চিৎকার করলে উক্ত বিবাদীরা আমার মুখ চেপে ধরে ঘরের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তাদের সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয়। ওরা আমাকে ধর্ষণ করতে না পেরে আমার বাম পায়ে রামদা দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা জখম হয়। কিছুক্ষণ পর আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার মা ঘর থেকে বের হয়ে আসে এবং তিনি চিৎকার করলে তাকেও মারধর করে উক্ত দুষ্কৃতিকারীরা দ্রুত ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। রাত পোহালে আমি আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হই। যার ভর্তির রেজি: নং ২৫৮৯২/২৩৩ তারিখ: ০৪/১০/২০২০খ্রি:। আমি এবং আমার পরিবার এই ঘটনার ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার চেষ্টা করলে এবং থানা পুলিশকে জানালে উক্ত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং আমরা যাতে মামলা না দেই সেজন্য ভয়ভীতি ও বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারা এতে ব্যর্থ হয়ে ০৮ অক্টোবর -২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিবাদমান শত্রু পক্ষের সাথে হাত মিলিয়া তাদেরকে সাথে নিয়ে ২৫/২৫ জন আমাদের বসতবাড়ি ও গাছপালা কেটে নিয়ে যায় এং অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে মোল্লার হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মো: লোকমান হোসেন ও জামাল হোসেন ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং গাছ কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। উল্লেখ্য উক্ত জমিজমা নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারা বলবৎ ছিল।
এ ব্যাপারে নলছিটির থানার অফিসার্স ইনচার্জ(তদন্ত) আ: হালিম জানান, ঘটনা শুনে আমি পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করেছি।
এ ব্যাপারে নলছিটির মোল্লার হাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লোকমান হোসেন জানান, তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ আছে। এবং সেই জমিতে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। এবং ৪ অক্টোবর ভুক্তভোগী পারভীন আক্তারের ওড়না নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি।