২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

ক্ষুদ্র ঋণ ; গ্রামীণ মানুষের আতঙ্ক ও সমাধান

আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
  • মোহাম্মদ সোহাগ উদ্দিন

ক্ষুদ্র ঋণ হচ্ছে এমন একটি ঋণ ব্যবস্থা যেখানে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্টান কতৃক ঋণ দেওয়া হয়। এর পরিমাণ ৫০০০- ৫০০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ঋণে প্রদানে কোনো জামানত নেওয়া হয় না। সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক হারে সুদ সহ পরিশোধ করতে হয়। মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে এটা দেওয়া হয়। বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে।

গ্রামীণ অর্থনীতির কথা উঠলেই প্রথমে চলে আসে এনজিও নাম। সবাই মনে করে যে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী বা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে এনজিও। আমাদের দেশে প্রথম এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা গুলো কাজ শুরু করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালে পুর্নগঠনের উদ্দেশ্য এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে তৎকালীন প্রেক্ষাপটে অনেকটা সফলও ছিল।
বাংলাদেশের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি বিভাগ। দেশের প্রত্যেকটি এনজিওকেই এর অধীনে নিবন্ধিত হতে হয়। বাংলাদেশে মোট ২৪৯৮ টি নিবন্ধিত এনজিও রয়েছে এরমধ্যে ২৪০ টি বিদেশি। যার অধিকাংশ যুক্তরাষ্ট্রের ও যুক্তরাজ্যের ।
এইসব এনজিওগুলোর ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়ে অবনতি ও হয়রানি বেশি হয়েছে । এইসব ক্ষুদ্র ঋণের জন্য এনজিও গুলো চড়া হারে সুদ এবং খুব সল্প সময় বেধেঁ দেয়। গ্রামীণ মানুষদের যেসব বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে ঋণ দেওয়া হয় ;যেমন, হাঁস-মুরগি, গরু, ছাগল, ক্ষুদ্র ব্যবসা, সেলাই মেশিন ইত্যাদি ছোট ছোট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
যে ব্যবসা বা কাজগুলো করে ঋণ পরিশোধ করার জন্য অত্যন্ত মিনিমাম ৩-৬ মাসের সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণের এনজিও গুলো সেই সময় দিয়ে থাকে না। তাঁরা ঋণ দেওয়ার কিছুদিন পরেই পরিশোধ নেওয়া শুরু করে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ নিয়ে থাকে। লাভের মুখ দেখা সম্ভব বা সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।

তাহলে ক্ষুদ্র ঋণের এনজিও গুলো যেভাবে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। আর এইসব ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রামীণ মানুষগুলো তাঁদের ভিটেমাটি ও বিক্রি করতে হচ্ছে আর যারা তা ও পারছে না তাঁরা তাদের ভিটেমাটি রেখেই পালিয়ে যাচ্ছে। আবার এমনও দেখা গেছে যে এক এনজিওর ঋণ পরিশোধ করছে অন্য এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে বা একই এনজিও থেকে আরও ঋণ সংগ্রহ করে। আর সল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত এনজিও কর্মীদের দূরব্যবহার তো আছেই।এতে করে গ্রামীণ দরিদ্র ও নিপীড়ত মানুষদের দূর্দশা ও হয়রানির শেষ হয় নাই ।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে হলে এই এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণের নামে যে হয়রানি
মূলক সংস্থা গুলো রয়েছে সেগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে নতুবা গ্রামীণ অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি আর গড়ে উঠবে না।
ঋণের স্বল্প সময় নয় বরং দীর্ঘ সময় দেওয়া প্রয়োজন। অদক্ষ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষতাহীন রেখে ঋণ দেওয়া যাবে না। কেননা এতে তার কোনো লাভ নেই। সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। তাহলে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।

লেখক
মোহাম্মদ সোহাগ উদ্দিন
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ( তৃতীয় বর্ষ )
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network