• ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারের পূজোয় বরিশাল

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০২:৩১ পূর্বাহ্ণ
এবারের পূজোয় বরিশাল

বতর্মান প্রেক্ষাপটে ধর্ম নিয়ে আমরা ব্যাপক অসাম্প্রদায়িকতা দেখি। তাই “ধর্ম যার যার উৎসব সবার “এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৩ অক্টোবর সারা দেশ জুরে শুরু হয় হিন্দু ও সনাতন ধর্মবলাম্বিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজো। বাংলাদেশে ধর্ম নিয়ে সাম্যতা থাকলেও চলতি বছরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় মৌলবাদিদের হাতে প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। তাছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রামক জনিত সমস্যা তো রয়েছেই। তাই এ বছরের পূজায় কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঠেকাতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর পূজার সময় বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। দেশের সকল মন্দির ও মন্ডপগুলো জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সাজানো হয়। প্রতিটা মন্ডপ ও মন্দিরে উৎসব মূখর পরিবেশ থাকে। তেমনি করোনা মহামারীর ভেতরে থেমে ছিল না শারদীয় দূর্গা পূজা। সচেতনতা ও কঠোর আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এ বছরের পূজা। তবে করোনা মহমারির কারণে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর পূজো তেমন জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয়নি।

বরিশাল শহরে ছিল পূজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম আয়োজন ও উৎসব মূখর পরিবেশ। মন্ডপে ভক্তদের আনাগোনা কম হলেও আয়োজনে কনো কমতি রাখেনি প্রাশাসন ও পূজা বাস্তবায়ন কমিটি।বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৩ টি পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি র‌্যাব টহল দেয়। গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিক পূজা মণ্ডপগুলো নজরদারি করে। পাশাপাশি পূজা মণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। পূজা মণ্ডপ কেন্দ্রীক কন্ট্রোলরুম খোলা হয় এবং তৈরি করা হয় ভিজিলেন্স টিম।

পূজার সময় বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থায় জেনারেটর রাখা, ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু রাখা, সন্ধ্যা হতে রাত ১২ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া, মণ্ডপ কেন্দ্রীক সড়কগুলোতে ট্রাক ও লরি প্রবেশ ঠেকানো, মাদক ও ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর ও আগৈলঝাড়ায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেশি থাকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিদিন শত শত ভক্তরা এসে ভীড় করে এই মন্ডপ গুলোতে। নিরাপত্তা, সচেতনতা ও শৃংখলার মাধ্যমে একটি নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে বরিশালের পূজো মন্ডপ গুলোয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে পূজো উৎযাপণ করা হয়েছে।

সানভির, শিশু সাংবাদিক, রিপোর্ট একাত্তর।
ছবি : জগন্নাথ দেবের মন্দীর, কালীবাড়ি রোড, বরিশাল সদর