২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

সিটি কর্পোরেশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশির ভাগ ব্যয় নিজেরাই মেটাতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা সময়োপযোগী। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এ স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রয়োজন আছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার রয়েছে- ১. নগর স্থানীয় সরকার, ২. গ্রামীণ স্থানীয় সরকার এবং ৩. নগর ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার। নগর স্থানীয় সরকারের আওতায় রয়েছে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা।

গ্রামীণ স্থানীয় সরকারে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। আর নগর ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকারে রয়েছে উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ। গণতান্ত্রিক দেশে মূলত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকেই নাগরিকরা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা আশা করেন। তবে আমাদের স্থানীয় সরকারগুলো জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারছে, সেটাই প্রশ্ন।

কোনো প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর, শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে হলে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সম্মান ও সংস্থাপন খরচ মেটানোর পাশাপাশি জনচাহিদা ও জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি।

দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলো এখন পর্যন্ত আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে যে কোনো ব্যয়নির্বাহ, বিশেষ করে জনকল্যাণমূলক কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়।

ফলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিলম্বসহ নানাবিধ জটিলতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এতে জনভোগান্তি বৃদ্ধি পায়, যা মোটেই কাম্য নয়।

বস্তুত, নগরবাসী কী চায় বা তাদের চাহিদা কী, সেটা মেয়রদের অজানা নয়। উন্নত বিশ্বের মতো বছরজুড়ে মশক নিধন র্কমসূচি, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দখল-দূষণ থেকে মুক্তি, বিশুদ্ধ খাবার পানি, যানজট কমানো এবং নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করার বাইরে মেয়রদের কাছে মানুষের খুব একটা প্রত্যাশা থাকে না।

আন্তরিকতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হলে সমস্যাগুলোর সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। তবে এক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থাকার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

নির্বাচিত মেয়রের যোগসাজশে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়, রাজস্ব আদায়, বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত আয়, হাটবাজার ইজারার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থসহ বিভিন্ন খাতে অর্জিত আয়ের একটি অংশ পকেটস্থ করছে- এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়।

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ওপর নির্বাচিত সিটি মেয়ররা সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন, এটাই প্রত্যাশা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network