আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চাকুরী ও বদলির নামে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমানকে সভাপতির পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল স্তরের পদ থেকেও বহিস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তাতে বলা হয়েছে, মো. আতিকুর রহমান সংগঠনটির সভাপতি পদ ব্যবহার করে নিরীহ শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ সিলেটের শিক্ষক প্রতাপ চক্রবর্তীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই টাকার বিনিময়ে তিনি প্রতাপ চক্রবর্তীর মেয়েকে চাকুরী দিয়ে দিবে। একইভাবে পটুয়াখালী জেলার আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খানমের মেয়েক চাকুরীর নামে ১ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু চাকুরী দিতে পারেনি। এ বিষয়টি সমিতিতে জানা জানি হয়ে গেলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে এই অভিযোগ প্রমান হয়েছে বলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বদলির নামে আত্মসাৎ, সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অশিক্ষক বহিরাগতদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, জেলা কমিটিতে বিভেদ সৃষ্টি করে সমিতির ভাঙ্গন এবং সমিতির শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র লঙ্গন করার অভিযোগ ওঠে। এইসব অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটির গত ১ নভেম্বর জরুরী সভা করে তাকে সংশোধিত গঠনতন্ত্র এর ২৩ (ক), ২৫ (ক) ও (গ) ধারায় বহিস্কার করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. আবুল কাসেম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরী সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক মো. আতিকুর রহমানকে বহিস্কার করা হয়েছে। নির্বাহী সভাপতি এসএম রেজাউল করিমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা আতিকুর রহমান জানান, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির অনুমতিতে সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান করবে। কিন্তু এটা না করে অনুমতি ছাড়া কোন জরুরী সভা আহ্বান করা গঠনতন্ত্র বিরোধী। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভূয়া, বানোয়াট ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যা উদেশ্যা প্রনদিতভাবে করা হয়েছে। পৌনে ৪ লাখ সদস্যের কথা চিন্তা করে ও এই সংগঠনের ভালবাসার কারণে আমি এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করিনি।’
সমিতির নির্বাহী সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এম. রেজাউল করিম বলেন, নিয়ম অনুসারেই আতিকুর রহমানকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তার ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে। পাশাপাশি চাকুরী ও বদলীয়র কথা বলে তিনি যে ৩ জন শিক্ষকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে সেই ডকুমেন্টও রয়েছে। পারে তদন্ত করে এই সত্যতার মিলে যাওয়ার পর তাকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ থকে বহিস্কার করা হয়েছে। ##