আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২১
দানিসুর রহমান লিমন-
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের ওপর হামলার চেষ্টাকারী মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে চিকিৎসার জন্য পাবনা শহরের হেমায়েতপুরে পাঠানো হচ্ছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর স্কুল মাঠে একটি মাহফিলে বয়ান করছিলেন চরমোনাই পীর রেজাউল করিম। এসময় তার ওপর হামলার চেষ্টা করেন মেহেদি হাসান (২২) নামের এক যুবক। তখন আশপাশে থাকা মাহফিল কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিসহ অন্যান্যরা ওই যুবককে জাপটে ধরে নিবৃত্ত করেন। কেউ কেউ ওই যুবককে মারধরের চেষ্টা চালান। মাহফিলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। কিছু সময়ের জন্য বয়ান বন্ধ রাখেন চরমোনাই পীর। তিনি ওই যুবককে মারধর করতে নিষেধ করেন এবং তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানাতে বলেন মাহফিল কমিটি ও স্থানীয় ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের। পরে মাহফিল মঞ্চে উপস্থিত ওই যুবকের বাবা তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চান চরমোনাই পীর রেজাউল করিমের কাছে। তাকে ক্ষমা করে দেন চরমোনাই পীর। এরপর পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। মেহেদি হাসান বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
স্বজনরা জনান, মেহেদি হাসান মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসক, ওঝা ও ফকিরকে দেখানো হয়েছে। তাতে কাজ হয়নি। কিছুদিন ধরে তার স্বভাব আক্রমণাত্মক। দু’দিন আগে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সিকদারকে দেখে বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান মেহেদি হাসান। এরপর তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সুযোগ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে সোমবার রাতে শ্যামপুর স্কুল মাঠে চরমোনাই পীরের মাহফিলে হাজির হন। এরপর পীরের ওপর ওপর হামলার চেষ্টা করেন। পরে সেখান থেকে নিয়ে এসে মেহেদিকে ফের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। স্বজনরা আরও জানান, ওই ঘটনার পর থেকে নানা জায়গা থেকে মেহেদি হাসানের পরিবারের কাছে ফোন আসছে। এসব কারণে মেহেদিকে চিকিৎসার জন্য পাবনা শহরের হেমায়েতপুরে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। দু-একদিনের মধ্যে তাকে সেখানে পাঠানো হবে।