১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বরিশালে বরাদ্দ ৮ লাখ ৬৬ হাজার টিকা

আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রথম ধাপে পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাতেই টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার জন্য সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ ডোজ দেওয়া হবে।

সবচেয়ে কম বরাদ্দ বান্দরবান জেলায়-শুরুতেই পাবেন ৪০ হাজার ৪৩৯ জন। বরিশাল বিভাগে টিকা দেওয়া হবে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, সংক্রমণের হার প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশের ২৯ শতাংশ মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ ভাগ মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা করা হবে। যারা টিকা নেবেন, তাদের প্রত্যেককে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা আগামী ২২-২৫ জানুয়ারি দেশে আসবে-এমনটি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টিকা আসবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই সারা দেশে প্রথম ধাপের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই টিকাদান কর্মসূচিতে টিকা পাবেন দেশের ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, আমরা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী ধরনের অবদান রাখব-সেটি দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।

এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ সহয়িকা চূড়ান্ত খসড়া করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন প্রশিক্ষণ, মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও বাজেট চূড়ান্তকরণ, নির্দেশিকা তৈরি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এগুলো সব জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দুদিন টিকা দেওয়ার বিষয়ে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের (ডেপুটি সিভিল সার্জন, ইউএইচএফপিও) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হবে ২০-২৪ জানুয়ারি এবং টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলবে ২৩-২৬ জানুয়ারি। বিভিন্ন পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের ওরিয়েনটেশন হবে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি।

যেসব স্থান থেকে টিকা দেওয়া হবে তারমধ্যে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা/সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। এসব জায়গায় প্রথম ধাপের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দিতে ৭ হাজার ৩৪৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন সরাসরি ভ্যাকসিন দেবেন এবং বাকি চারজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে অন্যান্য কাজ করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিসট্রিবিউশন প্ল্যানে দেখা গেছে, বরিশাল বিভাগে টিকা দেওয়া হবে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে। চট্টগ্রাম বিভাগে দেওয়া হবে ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৩ জনকে, ঢাকা বিভাগে দেওয়া হবে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৫ জনকে। খুলনা বিভাগে দেওয়া হবে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৬ জনকে। রাজশাহী বিভাগে ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৯২২ জনকে। রংপুর বিভাগে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯ জনকে। সিলেট বিভাগে দেওয়া হবে ১০ লাখ ৩২ হাজার একজনকে। তিন রাউন্ডে এই জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন।

জেলা পর্যায়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভোলায় টিকা পাবেন এক লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন, ঝালকাঠিতে ৭১ হাজার ৯০ জন, পটুয়াখালী এক লাখ ৫৯ হাজার, পিরোজপুর এক লাখ ১৫ হাজার ৯২৯ জন, বরগুনা ৯২ হাজার ৯৭০ জন, বরিশাল দুই লাখ ৪২ হাজার ৪২ জন। বান্দরবানে ৪০ হাজার ৪৩৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৫ জন, চাঁদপুরে দুই লাখ ৫১ হাজার ৫৯২ জন, চট্টগ্রামে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ১২৯ জন, কুমিল্লায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬ জন, কক্সবাজারে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ জন, খাগড়াছড়ি ৬৩ হাজার ৯৩০ জন, লক্ষ্মীপুরে এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৬০ জন, রাঙামাটিতে ৬২ হাজার ৬২ জন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ-এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে টিকা পৌঁছবে ২৭ জানুয়ারি। টিকা পাওয়ার পর কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকদের পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হবে।

তার এক সপ্তাহ পর, মাঠ পর্যায়ে টিকা দেওয়া শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তালিকাভুক্ত জনগোষ্ঠীকে ৮ সপ্তাহ ব্যবধানে (প্রথম ডোজের ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ) টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে টিকা পাবেন কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসাবে কর্মরত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর পর্যায়ক্রমে পাবে অন্য সবাই।

প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পাওয়ার জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে প্রথম ধাপে প্রত্যেক মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। এ মাসেই যার প্রথম চালান আসছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network