আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২১
আজ বিকাল ৫টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের নিকট বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ আসাদ স্মৃতি রক্ষা জাদুঘর এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো, সহ-সভাপতি শাফিউর রহমান সজীব, রাশেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, দপ্তর সম্পাদক হিশাম খান ফয়সাল প্রমুখ।
ছাত্র মৈত্রী তাদের স্মারকলিপিতে বলে, স্মারকলিপিতে একাত্তরে মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বর্বর পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর হাত থেকে স্বাধীনতার লাল সূর্যটিকে আমাদের সূর্যসন্তানেরা ছিনিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিল যে সকল আন্দোলন ও ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা তন্মধ্যে ঊনসত্তরের স্বৈরশাসক আইয়ুব শাহী বিরোধী আন্দোলন অন্যতম ছিল। আইয়ুব শাহীর পতনের দাবিতে মিছিল করার সময় পাকিস্তানী পুলিশের গুলিতে নিহত হন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান আসাদ। শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তা সত্ত্বেও শহীদ আসাদের স্মৃতি রক্ষায় সরকার এবং স্থানীয় সরকার প্রশাসনের উদাসীনতা আমাদের মর্মাহত করে আসছে যুগের পর যুগ।
প্রতি বছর আসাদ দিবস আসে-যায়। নির্মাণ কাজ শেষ হয় না। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকীর আগেরদিন পরিচ্ছন্নকর্মীদের ডেকে এনে স্মৃতিস্তম্ভটি সামান্য পরিস্কার করিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আসাদ দিবস আসলে দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা তার স্মরণে বানী দেন। অথচ আসাদের স্মরণে নির্মাণাধীন জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহন করেন না। ইতোপূর্বেও আমরা বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছিলাম শহীদ আসাদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মাণাধীন জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে। কিন্তু অতীতের মত তার উদাসীনতা আমাদের হতাশ করে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে শহীদ আসাদ স্মরণে নির্মাণাধীন জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলতি বছরেই সুসম্পন্ন করার দাবি জানায়।
এসময় ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস নেতৃবৃন্দকে আশ^স্ত করে বলেন, “১২ বছর যাবত শহীদ আসাদের স্মৃতি রক্ষা জাদুঘর এবং ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ কেন সম্পন্ন হলো না, সেটা আমি খতিয়ে দেখবো। এবং অনতিবিলম্বে ঢাকা মেডিকেলের সামনে অসম্পূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শনে যাব। আমি আশাবাদী এই স্থাপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবো।”