২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে দীর্ঘসূত্রিতা : বেড়েছে অকাল মৃত্যু

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট একটি অযাচিত উপদান এবং তা নিত্য খাদ্য দ্রব্যের সাথে গ্রহণের ফলে যেসকল স্বাস্থ্যক্ষতি ও মৃত্যু সংঘটিত হচ্ছে তা পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব দ্রুত আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে।

জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা বিবেচনায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে যা একটি সময়পোযোগী এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তবে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের অগ্রগতি এগোচ্ছে মন্থর গতিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বাংলাদেশে বছরে অন্তত ৫৭৭৬ জন মানুষ শুধ্মাত্র ট্রান্সফ্যটের কারণেই মৃত্যুবরণ করছে, অর্থাৎ মাসে ৪৮০ জন। যতই বিলম্বিত হচ্ছে ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন, ততই বেড়ে যাচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু সংখ্যা।

নীতি প্রণয়নের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, ‘২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ীরা কী করবেন তা বলা ছিল। তবে সেটা ছিল সংক্ষিপ্ত আকারে। এখন আমরা বিস্তারিত প্রক্রিয়া বলে দিয়েছি প্রবিধানমালায়। এগুলো মানতে তারা বাধ্য থাকবেন। না মানলে আমরা আমাদের ফোর্স অ্যাপ্লাই করব। মূল আইনে শাস্তির বিষয়টি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবিধানমালার কারণে আমাদের তদারকি কিংবা এনফোর্সমেন্টের কাজ আরও সহজ হবে। কারণ আগে ব্যবসায়ীরা বলতেন প্রসেস জানি না, কীভাবে করব। এখন আর তারা সেটা বলতে পারবেন না।’

আমদানি ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডসহ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ, মোড়কজাতকরণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বিতরণ, প্রদর্শন ও বিপণনের সব পর্যায়ের জন্য এই প্রবিধানমালা প্রযোজ্য হবে।

সাধারণত প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বেকারি পণ্যে বিদ্যমান ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট এক ধরণের ফ্যাট বা স্নেহ জাতীয় খাদ্য উপাদান যা রক্তের এলডিএল বা ”খারাপ কোলেস্টেরল” বৃদ্ধি করে, অপরদিকে এইচডিএল বা ”ভালো কোলেস্টেরল”-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণে খারাপ কোলেস্টেরল রক্তবাহী ধমনিতে জমা হয়ে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ। অথচ ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতি সম্পর্কে দেশের ৯৫% মানুষই ধারণা রাখে না।

উচ্চমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) গ্রহণ হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন মতে বিশ্বে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫টি দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার মানুষ সার্বিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় যার মধ্যে ৪.৪১ শতাংশ অর্থাৎ ৫৭৭৬ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট। শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে সর্বোত্তম নীতি অর্থাৎ সকল ফ্যাট, তেল এবং খাবারে প্রতি ১০০ গ্রাম ফ্যাটে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ গ্রামে সীমিত করা, অথবা পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল- পিএইচও’র উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।

শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর গবেষণায় ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ডসমূহের মোট ২৪টি নমুনা বিশ্লেষণ করে ৯২ শতাংশ নমুনায় ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২% মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম নমুনায় গড়ে ১১ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারিপণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও বিএফএসএ-এর সদস্য মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ জানিয়েছে, ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে নীতিমালা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। খসড়া নীতিমালার ইংরেজি ভার্সন তৈরি হয়েছে। আরও মিটিং হবে। এখন এটার বাংলা করতে হবে। তারপর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

খাদ্যের সাথে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে দীর্ঘদিন দিন ধরে জনস্বাস্থ্যের এতো ক্ষতিসাধন হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নীরব ভুমিকায় রয়েছে। গতবছর ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ, কঞ্জিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় “ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাই” শীর্ষক একটি অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করে যেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এমপি। সেখানে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।” তিনি আরো বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ মাত্রা ২ শতাংশ নির্ধারণ করতে নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করাও জরুরি। অথচ পরবর্তী এক বছর সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া যায় নি। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমরা নিশ্চয় ২০২৩ সালের মধ্যে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে নীতি প্রণয়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও তিনি দেন।

অন্যদিকে ভোক্তা সাধারণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে করণীয় এবং ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৯ দফা ভোক্তা দাবিনামা তুলে ধরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সিরডাপ মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়: ভোক্তা পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা আয়োজন করে। আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি মাননীয় মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৯ দফা ভোক্তা দাবিনামা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে পুরাতন আইন সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযুগী করা হবে।
তবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে স্বাক্ষরিত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিএসটিআই ইতোমধ্যে পরীক্ষণ সুবিধাদি সৃষ্টিসহ ট্রান্স-ফ্যাট প্যারামিটারটি সংশ্লিষ্ট পণ্যের জাতীয় মানে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বপ্রথম ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ভোজ্য তেল এবং বনস্পতি/ডালডা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় ট্রান্স ফ্যাট এর শতকরা হার ২ বা ২ গ্রাম/১০০ গ্রাম নির্ধারণ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেই উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি দশ সদস্য বিশিষ্ট ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং ইতিমধ্যে খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করে। সেই সাথে মোড়কজাত বা প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের লেবেলে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা জারি করার জন্যও কাজ করছে বিএফএসএ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি চূড়ান্ত করার দাবী জানিয়ে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)-এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “কোনো অজুহাতেই ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করা যাবেনা। ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের মাধ্যমে প্রতিবছর হৃদরোগের মারাত্মক ছোবল থেকে রক্ষা পাবে সারাদেশের হাজারো মানুষ।”। সচেতনতা ও জনমত বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Heart Health Alert BD শীর্ষক সুসংগঠিত একটি ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network