আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২১
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী কর কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে এবার স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি খুলনা কর অঞ্চলে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ সরকারের ৩ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার ৯২৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ১৯ মে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার (সদর প্রশাসন) খোন্দকার তারিফ উদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে (খালিশপুর) মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ২০১৭ সালের ৮ মে থেকে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা কর অঞ্চলের অধীনস্থ কর সার্কেল-১৪ বাগেরহাটে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি করদাতাদের রাজস্ব হিসাবে দাখিল করা মোট ৪০টি পে-অর্ডার, ডিডি, ক্রস চেক সরকারি কোষাগারের পরিচালিত হিসাবে চালানের মাধ্যমে জমা না দিয়ে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে নিজে স্বাক্ষর করে দুই কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ একাধিক চেকের মাধ্যমে বাগেরহাট অপর একটি ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, সার্কেল-১৭ মোংলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ ৯৯৮ টাকা, সার্কেল-১০ মাগুরায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সোনালী ব্যাংক থেকে ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৪ টাকা, সার্কেল-২২ ভেড়ামারায় কর্মরত থাকা অবস্থায় জনতা ব্যাংক থেকে ৪২ লাখ ৭ হাজার ৫২৭ টাকাসহ সর্বমোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।