আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২১
বানারীপাড়া প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও বানারীপাড়া পৌর সভার মেয়র বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল একজন সত, আদর্শবান ও র্নীলোভী অতিসাধারণ মানুষ বলেই করোনাকালিন সময় নিজের জীবনের ঝুকী নিয়ে আপনাদের পাসে থেকে সেবা দিতে পেরেছেন বলে প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তালুকদার মো.ইউনুস। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডে লিন্টু চ্যাটার্জির বাড়িতে উঠান বৈঠকের প্রথম দিনে পৌর বাসির উদ্ধেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল একজন ভাল লোক হিসেবে দীর্ঘ ৫টি বছর এই পৌর সভার উন্নয়ন করেছেন এবং করোনাকালিন সময় নিজের জীবনের ঝুকী নিয়ে তাদের সেবা করেছেন। আমরা পৌরবাসীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার এ সেবা দানের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এক্ষেত্রে তিনি পৌরবাসীকে তার সেবাদানের মূল্যায়ন করার পাশাপাশি ১৪ ফেব্রুয়ারী বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সাবেক কেন্দ্রী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খান বলেন, পৌর মেয়র হিসেবে সুভাষ এক জন সফল মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর কাছে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি নিঃসন্দেহে এক জন ভাল মানুষ। পৌরবাসীকে পূনরায় নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মেয়র হিসেবে তার মত একজন সত ব্যাক্তিকে বেছে নেয়ার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন, আমি অসোহায় দরিদ্র মানুষের কষ্টের কথা বুঝি বলেই করোনাকালিন সময় জীবনের ঝুকী নিয়ে পৌরবাসীর পাশে থেকে সেবা দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, দেশে করোনা শুরু হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী করোনা প্রতিরোধে পৌরবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদেরকে মানবিক সেবা দেয়ার জন্য আমি আমার স্ত্রী, সন্তানকে বাসায় রেখে দীর্ঘ দীন ধরে পৌর সভায় অবস্থান করেছি। এসময় আমি আপনাদের পাশে থেকে সেবা দিতে গিয়ে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। এসময় আপনারা আমাকে সুস্থ্য হয়ে পূনরায় আপনাদের মাঝে সেবা দিতে ফিরে আসার জন্য বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা করেছিলেন। এজন্য আমি পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি পৌরবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমির্ াজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোন দিনও দূর্ণীতির আশ্রয় নেইনী। আমি জীবনের এই ৬৪ বছর বয়সে আপনদের সামনে দাড়িয়ে বলছি, আমি সত ছিলাম বলেই আপনাদের ম্যান্ডেট নিয়ে পৌরসভার মেয়র দায়ীত্ব নেয়ার পর সারা দেশের মধ্যে ্এই বানারীপাড়া পৌর সভাকে দূর্ণীতি মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, একন সত মানুষ ছিলাম বলেই বাড়ির পৈত্রক সম্পত্তি বিক্রি করে আমার সন্তানদের লেখা-পড়া করানোর পাশাপাশি বড় মেয়েকে ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আমি আপনাদের দোয়া ও আর্শিবাদ নিয়ে যখন ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয় থেকে (পলিটিক্যাল সাইন্স) এম.এ,এল.এল.বি পাস করেছি। আমি ঠিক সেই সময়’র একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে দেশের অনেক বড় পদে চাকুরী নিতে পারতাম। কিন্তু আমি দেশ ও আপনাদেরকে খুব বেশি ভাল বাসি বলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ’র রাজনীতি শুরু করে আসার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, সরকারী আইনজীবী, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে সততার সাথে দায়ীত্ব পালন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, এসব দায়ীত্ব পালনকালে সরকারী অনুদানের পাশাপাশি আমি একজন সত আইজীবী হিসেবে যে অর্থ উপার্জন করেছি, সেই অর্থ দিয়েও আপনাদের সেবা করার চেষ্টা করেছি। তিনি এভাবেই বাকী জীবনটা পৌরবাসীর আপনজন হয়ে পাশে থেকে সেবা দিতে চান। পৌর মেয়র সুভাষ বলেন, এখন সময় এসেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারী বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে পৌর মেয়র পদে একজন সত ও যোগ্যপ্রার্থী বেছে নেয়ার। এক্ষেত্রে পৌরবাসিকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা বলেন, আমি অসনী সংকেত পাচ্ছি। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা বিশ^াস জ্ঞাতকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকেই কাল টাকার ঝনঝনানী করছেন। যারা দলের ভিতর থেকে দলীয় প্রার্থীর সাথে ঘাতজ্ঞতা করে গোপনে অন্য প্রার্থীর সাথে আতাত করবেণ। তাদের বিরুদ্ধে নজরধারী করা হয়েছে। ধরা পড়লে তাদেরকে কোন প্রকার ছার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার পাশাপাশি তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে রিপোর্ট করবেন বলেও উল্লেখ করেণ। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেণ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি একেএম ইউসুফ আলী, খিজির সরদার, সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ঘরামী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আওরোংগো, উপজেলা যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুলহুদা তালুকদার প্রমূখ। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল’র উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।