আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২১
দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি॥ দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগ উন্নয়নে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে লেবুখালীর পায়রা সেতুর নির্মাণের স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায়। পায়রা নদীর ওপর ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য কাঙ্খিত ‘লেবুখালীর পায়রা সেতু’র আর বাকী মাত্র দু’পেয়ার সংযোগ। এদু’টি সিগমেন্ট সংযোগ হলেই দক্ষিনাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের সেতু নির্মাণের ৯০ভাগ পূর্ণ হতে চলেছে।
২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী সফরে এসে লেবুখালী পায়রা সেতুর ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ২৪জুলাই কুয়েত সরকারের অর্থায়নে ১হাজার ৪শ’ ৭০ মিটার দীর্ঘ ও ১৯.৭৬ মিঃ প্রস্থ চার লেনের লেবুখালী পায়রা সেতুর নির্মান কাজ শুরু করা হয়। সেতুটি নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ৩৩ মাস। ২০১৯সলের ২৩এপ্রিল সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা থাকলেও নানা কারণে বিলম্বিত হয়। দুইটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারের সেতুটির প্রায় ৯০ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় তীরের গার্ডার-স্প্যানসহ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, চলছে মাঝ নদীতে স্প্যান সংযোগের কাজ। আর মাত্র দু’টি সিগমেন্ট সংযোগ হলেই স্বপ্নের সেতুটির দু’পরের সাথে স্প্যানের বন্ধন মিলে যাবে। বাকী আনুসাঙ্গিক নির্মাণ সম্পন্ন করে চলতি ২০২১সালের ৩০জুনের মধ্যে জনচলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম।
সেতু প্রকল্প সূত্রে জানাযায়, কুয়েত সরকারের অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে চায়নার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান চাইনিজ কোম্পানী সেতুটি নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে অবহেলিত দক্ষিনাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
সওজ’র প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৯কি.মিটারে পায়রা নদীর ওপর ‘লেবুখালী সেতু’ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে উপকূলের ৫০লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। চার লেন বিশিষ্ট ৪.৫ কি.মিটার দৈর্ঘ্যরে গার্ডার ব্রিজটির উভয় দিকে ৭কি.মিটার জুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ্যাপ্রোজ সড়ক। ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকা। ব্রিজটি নির্মিত হলে খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। ব্রিজটি নির্মিত হলে পটুয়াখালী-বরগুণা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।
#