আপডেট: মার্চ ৮, ২০২১
বরিশাল ব্যুরো\
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার পর পদ পদবি পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে পদ প্রত্যাশিরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহŸানে ইতিমধ্য প্রায় পৌনে দুই‘শ জীবনবৃত্তান্ত দাখিল করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে উপডৌকন ও অর্থনৈতিক লেনদেনের খবরও চাউর হয়েছে গোটা শহরে। কেন্দ্রীয় এবং সময়োপযোগী নেতাদের মনরঞ্জনে পদ প্রত্যাশিরা এখন রাজধানীতে অবস্থান করছে। চলছে কোরাম ভিত্তিক তদ্বীর ও লোবিং বাণিজ্য। তবে পদ প্রত্যাশিদের তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ। অধিকাংশদের নাম রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায়। কেউ কেউ নানা অভিযোগে চার্জশীট ভুক্ত। যদিও এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন-বিগত দিনে ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। জামায়াত-বিএনপি,সন্ত্রাসী, মাদকাসক্তরা কোন ভাবে যেন ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান না পায় সে জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা পটুয়াখালীতে নিস্কন্টক ছাত্রলীগ কমিটি চাই। এমনটাই দাবী করছেন পটুয়াখালী সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরাও।
চলতি মার্চ মাসে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটির ঘোষনার করা হবে এমন তথ্য নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করে। আওয়ামীর রাজনীতির একাংশের ব্যানারে সভাপতি পদ পেতে দৌড়ঝাপ করছেন সৈয়দ বেলাল হোসেন পাবেল। কিন্তু পাবেলের চাচা,ভাই, বোনসহ পরিবারের অন্তত ১৯ সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এমন অভিযোগে পটুয়াখালীর এক জনপ্রতিনিধি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আরো এক প্রার্থীর নাম সালাউদ্দিন হিরা। জেলা আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার আর্শিবাদপুষ্ঠ হয়ে তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। হিরার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালে পুলিশ কর্মকর্তার মটরসাইকেল আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে হিরার বিরুদ্ধে।
সভাপতি পদ প্রত্যাশির মধ্য মেহেদী হাসান কোয়েলের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ এবং ২০১২ সালে সদর থানায় একটি যৌন নীপিড়ন ও শ্লীলতা হানীর মামলায় কোয়েলের নাম রয়েছে। যদিও বাদীকে প্রভাবিত করে ওই মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যায়। জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদক জামান গাজীর ছেলে তানভীর হাসান আরিফের পক্ষেও চলছে জোরতদ্বীর। এছাড়াও সাইফুল ইসলাম খান, হৃদয় আশিষ, রাকিবুল হাসান রকি, আশিষ ঘোষ, মেহেদী হাসান ইমন,আরিফ আল-আমিন, বেলাল হোসেন, সবুর খান, আসাদুজ্জামান আসাদ, প্রান্ত আশ্চর্য, আব্দুল্লাহ তালুকদারসহ পৌন দুই‘শ প্রার্থী পদ পদবি পেতে চলমান সময়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। একই ভাবে হামলা-মামলাসহ একাধিক অভিযোগে বির্তকিতরা পদ পেতে দৌড়ঝাপ করছেন।#