আপডেট: মার্চ ৯, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার :
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের
আওয়ামী লীগের চুড়ান্ত প্রার্থী নিয়ে সামাজিক যোগাযোম মাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। টাকা দিয়ে কাউন্সিলে ভোট কেনার
অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে শনিবার থেকে চলতে
তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচিত ও পরাজিত প্রার্থী এবং তার
সমার্থকরা ফেসবুকে দিচ্ছেন ক্ষোভের পোস্ট। একে অপররের ফেসবুক পোস্টে
করছেন আপত্তিকর মন্তব্য। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে চেয়ারম্যান
প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার আসন্ন ইউপি নির্বাচনের
প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষে বাঁশবাড়িয়া ও একটি ছোট সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে
বহরমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ও জেলা
আওয়ামী লীগ নেতারা ওই দুই ইউনিয়নের জন্য সমন্নয় করে তিন জন করে
দুই ইউনিয়নে ৬ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত করে। পরে
বহিরাগত ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা,হাতাহাতি, সংঘর্ষ ও পুলিশসহ
৭ জন আহতের মধ্য দিয়ে শুক্রবার উপজেলার সবচেয়ে আলোচিত ইউনিয়ন
আলীপুরার প্রার্থী বাছাইয়ের বর্ধিত সভা সম্পন্ন। ওই বর্ধিত সভায়
মনোনয়ন প্রত্যাশী ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সমন্নয় করা সম্ভব না
হলে ভোটের আয়োজন করা হয়। ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান
২৯ ভোট পেয়ে প্রথম,আতিকুর রহমান সাগর ২০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও
ডিএম সালাউদ্দিন ১৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় নির্বাচিত হন। এদিকে ভোটের
দিন থেকে কাউন্সিলরদের ভোট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
আলোচনা-সমালচনার ঝড় উঠে। দেখা দেয় উত্তেজনা। নির্বাচিত প্রার্থী
নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমার্থকরা
বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরছেন। টাকা দিয়ে কাউন্সিলরদের ভোট কিনে
নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা।
আলীপুরা ইউনিয়নের সরকারদলীয় বর্তমান চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল তার এক
ফেসবুক পোস্টে লেখেন গত ৬ তারিখ আলীপুরা ইউনিয়ন কাউন্সিল
নির্বাচনে নৌকার প্রতীক টাকার বিনিময় আলীপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের তৃণমূল কর্মীরা তুলে দিলো অপরিচিত মুখের হাতে যার সাথে
আদো কোন জনগণের সাথে সম্পর্ক নেই।
শাহিন ইসলাম নামে এক যুবক ফেসবুকে লেখেন, আলীপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী
লীগের ৮৫ টি কাউন্সিল ভোটের মধ্যে ৩টি ভোট আমাদের বাপ-চাচাদের।
সবি জানি সামান্য টাকার কাছে ভোটাররা বিবেকগুলো বিক্রি করে দিসে।
কাউন্সিলরদের দ্বিতীয় নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর
রহমান সাগর অভিযোগ করে বলেন, শুনছি কাউন্সিলরদের
একটি ভোট পঞ্চাশ হাজার টাকাও বিক্রি হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা চেয়ারম্যান প্রার্থী ডিএম সালাউদ্দিন জানান,
রাজনীতিতে অযোগ্য ব্যক্তি তারা টাকার
বিনিময়ে ভোট কিনে কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট
কেনা ব্যক্তি নৌকার মনোনয়ন পেলে কতটুকু নৌকা ভোটে কতটুকু
টিকবে বলে তিনি শঙ্কার কথা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি
বিবেচনার অনুরোধ জানান।
আলীপুরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল জানান,
তৃণমূল কাউন্সিলররা আমাদের কাছে তাদের ভোটের জন্য টাকা দাবি করেছে।
আমরা টাকা দেইনি। প্রথম স্থান পাওয়া মিজান ৬০-৭০ হাজার টাকা করে
দিয়ে ভোট কিনে প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন।
কাউন্সিলরদের ভোটে প্রথম স্থানে থাকা উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর
রহমানের মোবাইলে একাধিক বার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ
করেননি।