আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২১
আজ(১৭ই এপ্রিল,২০২১ইং) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন অভিনেত্রী কবরী।তার পুরো নাম সারোয়ার
কবরী। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে। কবরীর আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। ১৯৬৮ সালে তাাঁর ‘সাত ভাই চম্পা’ চলচ্চিত্রটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন কবরী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন কবরী। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কবরীর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম।
নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে অভিনীত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ ছাড়িয়ে যায় আগের সব জনপ্রিয়তাকে।
২০০৫ সালে ‘আয়না’ নামের একটি ছবি নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন কবরী।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রঃ
সুতরাং, জলছবি, বাহানা, আবির্ভাব, বাঁশরি, যে আগুনে পুড়ি, দর্পচূর্ণ, বিনিময়, তিতাস একটি নদীর নাম, রংবাজ, সুজন সখী, আগন্তুক, ময়নামতি, সারেং বৌ, দেবদাস, চোরাবালি , হীরামন ,ক খ গ ঘ ঙ, পারুলের সংসার, সাত ভাই চম্পা, দীপ নেভে নাই ইত্যাদি।