২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

কুয়াকাটায় মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েক হাজার হোটেল কর্মচারী

আপডেট: মে ৪, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি)
প্রাণঘাতী করোনার ২য় ঢেউ পর্যটন নগরী সাগর কন্যা কুয়াকাটায় কর্মহীন হয়ে পরছে কয়েক হাজার হোটেল মোটেলে থাকা কর্মচারীরা। এক মাসের লকডাউনে কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে এসবের পরিবার গুলো। খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় তার জন্য দিন দিন কর্মহীন হোটেল কর্মচারীরা এখন বিপদ কটানোর দিকে চেয়ে আছে। আর আল্লাহ আল্লাহ করে দিন পার করছে। শত অভাবে তাড়ো না করলেও লজ্জায় মুখ খুলতে পারছে না এরা। কারো কাছে হাত পাত্তে পারে না এরা। ত্রানের খাতাও নাম উঠছে না এদের। এ ভাবে চলতে থাকলে অর্ধহারে অনাহরে মারা যেতে পারে এমন আশংকা করছে সবাই। সামনে রমজান চাকরীর কর্মস্থানে না শুরু হলে পরিবার নিয়ে কি ভাবে দিন কাটাবে সে চিন্তায় মহাপ্রলয়ে চেপে বসেছে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ মার্চের ১০ দিন আগে হোটেল মোটেল এবং ওয়াটার বাসসহ ট্যুরিস্ট বোট গুলো বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এর পড়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বার্মিজ মার্কেট, সীবিচের ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শুটকির দোকান, খাবার রেস্তোরা, মিউজিয়াম, ইলিশপার্কসহ ছোট বড় মাঝারি সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ কর্মযজ্ঞের প্রাণঘাতী করোনার থাবায় মার্চেও ১৭ বন্ধের পরে কর্মচারীদের মালিক পক্ষ সবাইকে ছুটি দিয়ে দেয়। অনেকের বেতন দিয়ে আবার অনেকে ১-২ মাসের বকেয়া দিয়ে বিদায় দেন। হোটেল রেইনড্রোপস ম্যানেজার দিপঙ্কর রায়(২৭) বলেন হোটেল বন্ধের সাথে সাথে আমাদের হোটেলে থাকা ১৪ জন কর্মচারী বিদায় দিয়ে দিছে কিছু টাকা দিয়ে কিন্ত বকেয়া বাকি আছে চাইতে গেলে মালিক বলছে আমরাই তো চলতে পারি নে আবার তোমাদের কি ভাবে দিব।

বীচ হ্যাভেন‘র ম্যানেজার বাইজিদ (৩৪) বলেন আসলে কি বলবো আমাদের কথা হোটেলে মুলত কর্মচারীদের তেমন কোন বেতন নেই গেস্ট থাকলে তাদের সেবা দিয়ে যে বকশিস পাই আমরা সবাই মিলে মাস শেষে ভাগ বাটোয়া করে নি। এখন তোর নিরুপায়।

অভিজাত হোটেল খান প্যালেস‘র সাকুর জানান, গত মাসের বেতন দিয়ে আমাদের ৪২ জনকে বিদায় দেয় মালিক পক্ষ কিন্ত এদিকে আমাদের এলাকায় সেই ত্রানের খাতায় নাম না থাকায় আমরা কিছু বলতের পারছিনা কর্তাব্যক্তিদেরঅভাবের জ্বালা দেখানোর মত মানুষ পাইনে। এ ভাবে চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মারা যেতে হবে। হাজার হাজার হোটেল কর্মচারী রিতীমত অর্ধহারে থাকতে শুরু হয়েছে আর কতদিন এভাবে চললে কি হবে তাদের ভাগ্যের কি ঘটবে তা তারা ভেবে পাচ্ছে না। অর্ধহারে অনাহারে থাকা হাজার হাজার হোটেল কর্মচারী নিত্য প্রয়োজনীয় যাতে পাইতে পারে তার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী তোলেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network