আপডেট: মে ১২, ২০২১
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী গতকাল সহকারী পুলিশ কমিশনার কোতয়ালী থানা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দক্ষতার, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা সাথে কাজ করেছেন। একের পর এক সফল কর্মকান্ড পরিচালিত করে অল্প দিনে চৌকশ অফিসার হিসেবে ক্ষ্যাতি লাভ করেছেন। তার নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকায় সময়ের সাথে সাথে মাদক-সন্ত্রাসের মতো কর্মকান্ড অনেকটাই কমে এসেছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ৩৫ তম বিসিএস ব্যাচের একজন সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। তার কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার জন্য দায়িত্ব গ্রহনের ৮ দিনের মাথায় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরক্ষে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বন্দর থানা এলাকার দায়িত্ব পান। দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালেনের পরে ২০১৯ সালেল ২ জানুয়ারি সহকারি পুলিশ কমিশনার (এস্টেট) এর নতুন দায়িত্ব পান তিনি। সাথে বহাল থাকে বন্দর থানার দায়িত্ব। এরপর সততা ও নিষ্ঠার জন্য ১৯ সালের ২৫ মে শাহেদ আহমেদ চৌধুরী সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার), অতিরিক্ত দায়িত্ব সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর /এস্টেট/আরও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবার সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) প্রশিক্ষন জনিত কারণে বাহিরে থাকলে তিনমাস সে দায়িত্বও পালন করেন তিনি। এই চৌকশ অফিসার যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস মামলার তদন্ত কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং অজ্ঞাতনামা এজাহারনামীয় ও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের গ্রেফতার করেন। যে সব আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদ ও ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয়। তিনি বন্দর ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং এর কমিটি গঠন পূর্বক কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে সভায় বন্ধু সুলভ আচরনের কারনে তরুনদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে থানায় আগত হয়রানী ও প্রতারণার শিকার অসংখ্য অসহায় ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা প্রদান ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।