আপডেট: জুন ১৭, ২০২১
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আওয়ামীলীগ প্রার্থীর গণ সংযোগে জেতে রাজি না হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক গাজী ও নিজাম গাজীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দুইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বুধবার রাতে বিশ^াসের বাজারে।
জানাগেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের দুই কর্মী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক গাজী ও নিজাম গাজী বুধবার রাতে উপজেলার বিশ^াস বাজারে কুদ্দুস হাওলাদারের চায়ের দোকানে চা পান করছিল। ওই স্থান দিয়ে নৌকার প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে গণ সংযোগ করছিল। ওই গণ সংযোগ থেকে রুহুল আমিন বয়াতি, মধু বিশ^াস, সজিব কবিরাজ, মাসুম মৃধা, মঞ্জু হাওলাদার, হারুন বিশ^াস ও ইলিয়াস মৃধা এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আবু বকর সিদ্দিক গাজী ও নিজাম গাজীকে নৌকার গণ সংযোগে যেতে চাপ দেয়। এতে তারা রাজী না হওয়ায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মীরা তাদের বেধরক মারধর করে। এতে তারা গুরুতর যখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ মোল্লা বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী শহীদুল ইসলাম মৃধা শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে গণ সংযোগ করতেছিল। ওই গণ সংযোগ থেকে রুহুল আমি বয়াতি ও মধু বিশ^াসের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মী সমর্থক এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিক ও নিজাম গাজীকে মারধর করেছে।
আহত আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী শহীদুল ইসলাম মৃধা শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে গণ সংযোগ করছিল। ওই গণ সংযোগ থেকে রুহুল আমিন বয়াতি, মধু বিশ^াস, সজিব কবিরাজ, মাসুম মৃধা, মঞ্জু হাওলাদার, হারুন বিশ^াস ও ইলিয়াস মৃধা এসে আমাদের নৌকার গণ সংযোগে অংশ নিতে বলে। এতে আমরা রাজি না হওয়ায় আমাদের মারধর করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমার কোন কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোন কর্মীকে মারধর করেনি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।