• সনৎ কৃষ্ণ ঢালী, স্টাফ রিপোর্টার :

মানব স্বাস্থ্যের উপর সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব সামুদ্রিক হুমকির উপর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বেগের একটি তালিকার শীর্ষে রয়েছে যা আমাদের মহাসাগরকে কীভাবে রক্ষা করতে পারে সে সম্পর্কে নীতি গঠনে সহায়তা করতে পারে।

এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১৪ টি ইউরোপীয় দেশ জুড়ে ১৫,০০০ এরও বেশি লোকের উপর জরিপ চালিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের সমুদ্র, মহাসাগর এবং জনস্বাস্থ্য (সোফি) প্রকল্প নামে আন্তঃশৃঙ্খলা ইউরোপীয় সহযোগিতার অংশ হিসাবে, হরাইজনস ২০২০ দ্বারা অর্থায়িত।ইউরোপীয় মেরিন বোর্ড, ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের সাথে কাজ করে সোফি প্রকল্পটি সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণ সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক বিষয়ের প্রতি জনসাধারণের উপলব্ধি তদন্ত করে। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল চেঞ্জে প্রকাশিত নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ইউরোপীয় এবং অস্ট্রেলিয়ান উভয়ই সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণের মানব স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, রাসায়নিক বা তেল ছড়িয়ে পড়া, সামুদ্রিক বায়োডাইভারসিট সহ উদ্বেগের কারণে ১৬ টি সামুদ্রিক সম্পর্কিত হুমকির শীর্ষে রয়েছে ।প্লাস্টিক দূষণ আন্তর্জাতিক উদ্বেগের প্রধান কারণ হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় গবেষণাটি এসেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে পরিচিত প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলি সমুদ্রের সমস্ত জীবনে নমুনা পাওয়া গেছে, যার অর্থ তারা মানুষের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, সামুদ্রিক জীবন এবং অন্যান্য বন্যজীবন সহ পরিবেশগত ক্ষতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা থাকলেও মানব স্বাস্থ্যের উপর সম্ভাব্য প্রভাবগুলি অসম্পূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে জরিপ করা লোকেরা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব বুঝতে আরও গবেষণাকে সমর্থন করে।এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোপীয় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক সোফি ডেভিসন বলেছেন: “প্লাস্টিক দূষণ আমাদের গ্রহের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল পরিবেশ চ্যালেঞ্জ। তবুও, সামুদ্রিক জীবনের ক্ষতি ভালভাবে বোঝা গেলেও মানব স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব এখনও অস্পষ্ট। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে এটি জনসাধারণের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের বিষয় এবং এই অঞ্চলে আরও গবেষণার জন্য ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।”
গবেষণায় দেখা গেছে যে প্লাস্টিক দূষণ মাইক্রোপ্লাস্টিকের মিনিস্কুলে কণাগুলিতে ভেঙে যায়, যা সমুদ্রের প্রাণী, পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সাহসে প্রবেশ করে। তবুও আজ অবধি, যদি এবং কীভাবে তারা মানুষকে প্রভাবিত করে তার আশেপাশের প্রমাণগুলি উদাহরণস্বরূপ সীফুড খাওয়ার মাধ্যমে তাদের খাওয়া সীমাবদ্ধ।ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ মনোবিজ্ঞানী সহ-লেখক ম্যাথিউ হোয়াইট বলেছেন, এই গবেষণাটির লক্ষ্য প্লাস্টিক দূষণ এবং সম্ভাব্য মানব স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে গবেষণার জন্য তহবিল সম্পর্কিত নীতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি অবহিত করা। তিনি বলেছিলেন: “সামুদ্রিক প্লাস্টিকের দূষণ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং সমস্ত সমাজ প্লাস্টিক খরচ চক্রের কিছুটা অবদান রাখে, আমাদের জরুরিভাবে প্লাস্টিকের ফুটো বন্ধ করার উপায়গুলির সাথে উচ্চ স্তরের উদ্বেগকে সংযুক্ত করার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে হবে পরিবেশ।”অনুসন্ধানগুলি পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক সরকারের বিভাগ দ্বারা পরিচালিত ৮০০০ জনের সাম্প্রতিক জরিপের প্রতিধ্বনি করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে তিন চতুর্থাংশ উত্তরদাতারা অনুভব করেছেন যে প্লাস্টিকের দূষণ এবং জঞ্জাল সমুদ্রের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এবং 94 শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে যে মহাসাগর ও মানুষের স্বাস্থ্য অযৌক্তিকভাবে সংযুক্ত রয়েছে, ফলস্বরূপ এক্সেটারের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি সতর্কতার প্রতিধ্বনি যা পরিবর্তনের প্রথম পর্যায়ে প্ররোচিত করার জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছিল।এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক গবেষণার একজন বিশ্ব নেতা, যার মধ্যে সামুদ্রিক প্রাণীর উপর জৈবিক প্রভাব এবং একই সাথে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পরীক্ষা করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করা।